কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনের স্থগিতাদেশ দেয়নি জেডিএল

নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে প্রসাশনের সহযোগিতা নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতির চিঠি

দর্শনা অফিস: গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সাময়িক স্থগিত রাখার জন্য পত্র দেয়া হলেও তা স্থগিত করা হয়নি বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে জেডিএল’র পক্ষ থেকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করণে প্রশাসনের সহযোগীতা নিয়ে কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনে কোন বাধা নেই উল্লেখ করে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দিলেন চিঠি। এ চিঠির খবর কেরুজ এলাকায় জানাজানি হলে ভোটারদের মধ্যে আনন্দ উল্লাস দেখা দেয়। নতুন করে ভোটের আমেজে সরগরম হয়ে উঠেছে কেরুজ আঙিনা। শুরু হয়েছে ভোটের আলোচনা। গত পরশু সোমবার সরেজমিনে কেরুজ এলাকা পরিদর্শন করেন কুষ্টিয়া শ্রম অধিদপ্তরের (জেডিএল) সহকারী পরিচালক তৌফিক হোসেন ও শ্রম কল্যাণ সংগঠক পারভেজ খান। কর্মকর্তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান ও নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুছ ছাত্তারের সাথে। পরে বৈঠক করেছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে। বৈঠকে শতস্ফূর্তভাবে ভোটের দাবি করেন নেতৃবৃন্দ। নিজ দপ্তরে ফিরে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর ই-মেইল বার্তা পাঠান তৌফিক হোসেন। বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সংক্রান্ত কোন স্থগিতাদেশ প্রদান করেনি কুষ্টিয়া আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তর। এছাড়া গঠনতন্ত্রের ১৮ অনুচ্ছেদের ‘ক’ ধারায় রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা, প্রকৃতিক দুর্যোগ বা অনুরূপ কোনো কারণ ছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ ২ বছর পূর্ণ হওয়ার পর তা অবৈধ, অকার্যকর ও বাতিল বলে গণ্য হবে। চিঠিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে যোগাযোগের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি মিলের সকল শ্রমিক ও কর্মচারী নির্বাচনমুখি। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলেও তৌফিক হোসেন ওই ই-মেইল বার্তায় জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান জানান, জেডিএল’র পত্র পেয়েছি। আমরা যথেষ্ট আন্তরিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে। আজ বুধবার এ পত্র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যানকে দিয়ে দ্রুত পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হবে।