দর্শনা অফিস: কেরুজ চিনি কারখানায় লোকসান কমাতে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আখ সরবরাহ করতে যেমন চাষিদের প্রতি জানানো হয়েছে আহ্বান। তেমনি ওজন ও ক্রয়ের সময় দেখে নেয়া হচ্ছে। ফলে আবর্জনা যুক্ত আখও কৃষকরা আনছে না মিলগেটে। মিলের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ এবারের আখ মাড়াই মরসুমে সকল অনিয়মকে ছুড়ে সঠিক নিয়মে সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। সিডিএ ও সিআইসিদের মাধ্যমের বাইরেও চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান ও মহাব্যবস্থাক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূইয়া কৃষদের সাথে সভা-সমাবেশে প্রচার করছেন উন্নত জাতের আখচাষের পাশাপাশি সঠিক পরিচর্চায় অধিক ফলন ও বেশি মুনাফা অর্জনের কথা। হাসুয়া বা দা দিয়ে নয়, কোদাল থেকে গোড়া থেকে আখ কর্তনে যেমন আখের ওজন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি লাভবান হবে কৃষক। ২০২৪-২৫ আখ মাড়াই মরসুমে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের লক্ষমাত্রা অনুযায়ি ৫ হাজার একশো একর জমিতে আখচাষ রয়েছে। যার মধ্যে কৃষকের জমির পরিমান ৩ হাজার ৪৫৫ ও কেরুজ নিজস্ব জমিতে রয়েছে এক হাজার ৬৪৫ একর আখ। ৬৫ মাড়াই দিবসে ৭০ হাজার মেট্রিকটন আখ মাড়াই করতে হবে। যার গড় মাড়াই হার এক হাজার ১৫০ মেট্রিকটন। চিনি আহরণের গড় হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য শতাংশ। চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪ হাজার ২শ মেট্রিকটন। চিনিকলের নিজস্ব জমির মতই যদি এ মরসুমে কৃষকেরাও কোদাল দিয়ে আখ কর্তন ও আবর্জনা মুক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আখ মিলে সরবরাহ করে, তবে যেমন বাড়বে মাড়াইকৃত আখের পরিমাণ, তেমনি বাড়তে পারে মাড়াই দিবসও। সেই সাথে চিনি আহরণের হারও পাবে বৃদ্ধি। এতে প্রতি বছরের মত এ বছর কিছুটা হলেও চিনি কারখানায় কমতে পারে লোকসানের অংকটা। তাই মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান, সকল আখচাষিকে অহ্বান করেছেন কোদাল দিয়ে কর্তন করে পরিষ্কার আখ মিল সরবরাহ করার।