স্মরণকালের রেকর্ড ভাঙবে কম আখ মাড়াইয়ে ॥ ইক্ষু রোপণে ছোটাছুটি শুরু
দর্শনা অফিস: কেরুজ চিনিকল এ অঞ্চলের অন্যতম অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিকে কেরুজ চিনিকলের রয়েছে অতীত সুনাম। দিনদিন সে সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে আখ মাড়াই ও রোপণের ক্ষেত্রে। দেশের সর্ববৃহত ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠানটি যেন হারাচ্ছে জৌলুস। গত মরসুমের ৭২ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে আগামী মরসুমে পথচলার প্রস্তুতি নিলেও লোকসানের অংক কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে; সে হিসেব কষা যেন মুশকিল হয়ে পড়েছে। বর্তমান ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ইক্ষু রোপণে যেন মাজায় গামছা বেধে নেমেছে। ছুটছেন কৃষকদের দ্বারে দ্বারে। উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে ইক্ষু রোপণে। তবে সুফল কতোটা আসবে তা দেখার অপেক্ষা মাত্র। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের বেধে দেয়া লক্ষ্যমাত্রা ২০২১-২২ আখ মাড়াই মরসুম শুরু হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। এ মরসুমে সর্বমোট ৪ হাজার ৬২৭ একর জমির আখ মাড়াই করা হবে। যার মধ্যে কেরুজ নিজস্ব জমির পরিমাণ মাত্র ৯৮৯ একর ও কৃষকের জমিতে আখ রয়েছে ৩ হাজার ৬৩৮ একর। এবারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী মাত্র ৪৪ দিনে ৫০ হাজার মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন করা হবে সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিকটন। চিনি আহরণের গড় হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক শূন্য। এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমেই শুরু হয় ইক্ষু রোপণ মরসুমের কার্যক্রম। এবারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার একর জমিতে আখ রোপণের। এর মধ্যে চিনিকলের নিজস্ব জমির পরিমাণ ১৫৮৫ একর ও ৮৯১৫ একর জমি কৃষকের। গতকাল ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ৩ মাসে আখ রোপণ হয়েছে মাত্র ৮৩৩ একর জমিতে। এর মধ্যে চিনিকলের জমি ২৯৭ ও ৫৩৬ একর কৃষকের জমিতে আখ রোপণ করা হয়েছে। বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনিহায় ইক্ষু রোপণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ফলে সে বোঝা বইতে হচ্ছে বর্তমান ব্যবস্থাপনা পর্ষদকে। ফলে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন যোগদানের পরদিন থেকেই ইক্ষু রোপণ বৃদ্ধিতে মাঠে নেমেছেন। প্রতিদিনই ছুটছেন কৃষকদের দ্বারে দ্বারে। করছেন সভা-সমাবেশ। কৃষকদের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করছেন তিনি। এতে আখচাষিরা কিছুটা উদ্বুদ্ধ হয়ে ঝুকছে আখচাষে। দেখার অপেক্ষা শেষ অবধি কি হয়।