শনাক্ত ১৪৩ : ২শ বেডের হাসপতালে ভর্তি আছে ২২৭ জন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন করোনায় ও একজন উপসর্গ নিয়ে মারা যান। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৯টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৭৪ জন, কুমারখালী উপজেলায় পাঁচ, দৌলতপুরে ১১, ভেড়ামারায় ১০, মিরপুরে ২১, খোকসায় ২২ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৬.৭৬ শতাংশ হয়েছে। এই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০৮ জন।
এদিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ২০০ বেডে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে এখন ভর্তি আছে ২২৭ জন। তাদের মধ্যে করোনা শনাক্ত রোগী ১৮৮ জন। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। ৭০ শতাংশ রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। গত সাতদিনেই কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এক হাজার ৩৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত শুধু করোনা আক্রান্ত ৫৮৯ জনের মৃত্যু হলো।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসককে আরও কঠোর হতে হবে।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক আকরামুজ্জামান মিন্টু বলেন, হাসপাতালে ২০০ শতাধিক পয়েন্টে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া ১৭টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানোলা চালু রয়েছে। বেশি গুরুতর রোগীদের জন্য আলাদাভাবে পেয়িং ওয়ার্ডে রাখা হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এএসএম মুসা কবিরের বলেন, গ্রামে গ্রামে প্রশাসনের নজরদারি ও তদারকি আরও বাড়াতে হবে। উপসর্গ নিয়ে কেউ যেন বাড়িতে বসে না থাকেন। তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছাড়া মৃত্যুহার কমানো সম্ভব নয়। চিকিৎসা নিতে যত দেরি হবে, মৃত্যুর ঝুঁকি ততো বাড়বে।