কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মালিহাদ অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় সিনিয়র এএসপি আজমল ও মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা সঙ্গীয় ফোর্সসহ মালিহাদ ক্যাম্পের সকল অস্ত্রসস্ত্র এবং আসববাপত্র নিয়ে যান। এ সময় স্থানীয় সাধারণ জনতা নারী-পুরুষ ক্যাম্প চত্বর ঘোরও করে ক্যাম্পটি অহাল রাখার বাদীতে তাদের অবরোধ করে রাখে। প্রায় ২ ঘণ্টা ব্যাপী সিনিয়র এএসপি আজমল হোসেন তাদেরকে বুঝিয়ে বেলা ১টায় তারা মালিহাদ ক্যাম্পের সকল মালামাল নিয়ে চলে যান। মিরপুর থানা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত মালিহাদ ইউনিয়নটি। নব্বই দশকে যখন মালিহাদ এলাকায় সন্ত্রাসীদের অভয় অরণ্য ছিলো তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় পৌঁছুনোর আগেই সন্ত্রাসী অপরাধ কর্মকা- ঘটিয়ে পালিয়ে যেতো। এলাকার মানুষের শান্তির জন ১৯৯৯ সালে অস্থায়ীভাবে এই ক্যাম্পটি মালিহাদ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লক্সে স্থাপন করা হয়। এলাকাবাসী নিজেদের অর্থায়নে জানমালারে নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পটি স্থায়ী করার লক্ষ্যে মালিহাদ বাজারের পশ্চিম পাশে এক একর পাঁচশতক জমি ক্রয় করেন জেলা পুলিশ সুপারের নামে। বর্তমানে ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করায় আবারও মালিহাদ অঞ্চলটি অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে স্থানীয় সাধারণ জনতা আতঙ্কিত। স্থানীয় এলাকাবাসী আব্দুল হামিদ জানান, আমরা এলাকাবাসী চাই যে আমাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ক্যাম্পটি পুনরায় স্থাপন করা হোক। মালিহাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলমঙ্গীর হোসেন জানান, আমরা এলাকার জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ওপর মহলে জোর দাবি জানাচ্ছি আমাদের ক্রয়কৃত জমিতে দ্রুত পুলিশ ক্যাম্পটি স্থাপন করা হোক। আমরা ক্যাম্পের জন্য যে জমি ক্রয় করেছি প্রয়োজন হলে বিল্ডিংও আমাদের নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ করে দেবো তবুও আমাদের ক্যাম্পটি পুনরায় স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হোক। এ বিষয়ে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, সরকারি নির্দেশনা ছিলো অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পগুলো প্রত্যাহার করার জন্য সেই নির্দেশ মোতাবেক আমাদের কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার নির্দেশ দিলে মালিহাদের অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পটি শনিবার প্রত্যাহার করে নিয়েছি।