স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকার মসজিদের সামনে নিজের ইজিবাইক রেখে জোহরের নামাজ আদায় করতে যান রেজাউল হক (৪৫)। মিনিট দশেক পর নামাজ শেষে এসে দেখেন তার ইজিবাইকটি নেই। কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে তার শেষ সম্বল ইজিবাইকটি। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। আশেপাশের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে তালা ভেঙে ইজিবাইকটি চুরির হওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। এরপরই সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ইজিবাইক চালিয়ে যা উপার্জন হতো তা দিয়ে কোনোরকম বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানের খরচ জোগাতেন রেজাউল হক। সেই শেষ সম্বল ইজিবাইকটি হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি দোকানে বসে কাঁদছেন তিনি। রেজাউল হক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের পুরাতন গোরস্থানপাড়ার ওমর আলীর ছেলে। গতকাল ইফতারির পূর্বে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকায় একটি দোকানে রেজাউল হককে কান্নারত অবস্থায় দেখতে পান এ প্রতিবেদক। এসময় রেজাউল হক দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আজ (গতকাল) জোহরের নামাজ আদায় করতে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার মসজিদের সামনে আমার ইজিবাইকটি তালা মেরে রাখি। নামাজ আদায় করে মিনিট দশেক পর এসে দেখি ইজিবাইকটি নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, আমার নিজস্ব কোনো জমি নেই। থাকার জন্য শুধু বাড়িটাই আছে। বছর দুই আগে পুরোনো ইজিবাইকটি কিনেছিলাম। এটার উপার্জন দিয়ে বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানের খরচ চালায় আমি। এখন আমি কি করবো বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। রেজাউল হকের বড় মেয়ে রুকাইয়া ইসলাম মাদরাসা ছাত্রী, মেজো ছেলে ইয়াসিনের বয়স ১০ বছর ও ছোট মেয়ে রুহানীর বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহব্বুর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রেজাউল হক একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।