স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটখোলা-পাঁচলিয়া গ্রামে সাপে কাটা মুক্তাকিনা খাতুন ঐশী (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ঐশীকে মৃত ঘোষণা করেন। মুক্তাকিনা খাতুন ঐশী উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের হাটখোলা-পাঁচলিয়া গ্রামের টাইলস মিস্ত্রি শরিফুল ইসলামের মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে ঐশী বড়।
জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য রাশেদুজ্জামান বলেন, মেয়েটির বাড়ি আমার ওয়ার্ডে। সাপে কেটে মেয়েটি মারা গেছে। ঘটনার পর থেকেই ঝাড়ফুঁক করা হয়। গ্রামের মানুষ সচেতন হলে রাতেই মেয়েটিকে হাসপাতালে নেয়া উচিত ছিলো।
তবে ঐশীর মামা তালহা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো ঐশী। আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় একটি সাপ তাকে কামড় দেয়। এরপর ঐশী ছটফট করতে থাকে। পরে কয়েকজন কবিরাজ মিলে ঝাড়ফুঁক করেন তাকে। ঐশীর শরীরে সাপের বিষ ছিলো না। সে স্ট্রোক করে মারা গেছে। যদি সাপের বিষ থাকতো তাহলে ‘হাত চালানোর’ সময় ধরা পড়তো। একজনের হয়তো মিস হতে পারে, তবে ৫-৬ জন কবিরাজের ‘হাত চালান’ মিস হতে পারে না। পরবর্তীতে ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা(আরএমও) ডা. ফাতেহ আকরাম দোলন বলেন, সাপের কামড়ে ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা ভুল বলছেন। সে স্ট্রোকে মারা যায়নি। সাপের কামড়েই মারা গেছে। তার পরিবার যদি চাই আমরা পোস্টমর্টেম করতে রাজি আছি। ওঝা বা কবিরাজ যাই বলেন, তারা যেটা করেন সেটা ঠিক না। তারা নিজেদের দোষ ঢাকতে নিহত ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারকে ভুল বুঝিয়েছে বলে আমার ধারণা।