দামুড়হুদা ব্যুরো: দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের ৪র্থ তলায় প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে স্থাপিত হতে চলেছে অক্সিজেন প্লান্ট। এখানে থাকবে ১০টি বেড এবং দুটি ভিআইপ ক্যাবিন। ৪টি বড় সিলিন্ডারে থাকবে অক্সিজেন। আর ওই অক্সিজেন পাইপ লাইনের মাধ্যমে দেয়া হবে রোগীর মুখে। ব্যাকআপ হিসেবে থাকবে আরও ৪টি বড় সিলিন্ডার। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ে খুলনা বিভাগের মধ্যে এই প্রথম দামুড়হুদায় স্থাপিত হতে চলেছে অক্সিজেন প্লান্ট। যা কল্পনা করতেও ভালো লাগছে। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপও বটে। তিনি আরও বলেছেন, করোনায় আক্রান্তদের প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে অক্সিজেন। এছাড়া শীতকালিন সময়ে এটি এলাকাবাসীর জন্য বড় ধরনের সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এ্যাজমা ও ব্রোমকাইটিস রোগীদের জন্যেও ব্যবহার হবে এটি। এই সাপ্লাই অক্সিজেন এক সাথে ২০ জন রোগী ব্যবহার করতে পারবে। দর্শনার কৃতিসন্তান বিশিষ্ট শিল্পপতি ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদারের অর্থায়নে এই অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপিত হতে চলেছে। ঢকার রবিন এন্টারপ্রাইজ এটি সাপ্লাই করবেন। ইতোমধ্যেই ওই কোম্পানিকে ৬০ ভাগ টাকা প্রদান করা হয়েছে। আগামী শনিবার নাগাদ কাজ শুরু হতে পারে বলেও জানান তিনি। এসব তথ্য দিয়ে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, মো. মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদারের পক্ষ থেকে আমরা জাতি-ধর্ম, বর্ণ, দল মত নির্বিশেষে কর্মহীনদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। গত ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু করে অদ্যবধি সংগঠনের লোকজনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ি বাড়ি পৌছে দেয়া হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী। একইভাবে জীবননগর থানায়ও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত যখন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে লাগলো তখন টকশোর মাধ্যমে জানতে পারি করোনার প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে অক্সিজেন। কিন্তু বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। যাদের পয়সা আছে তারা কিনে নিয়ে রেখেছে। এটা মাথায় আসার পর আমি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানের সাথে আলাপ করি। ওনার পরামর্শ মোতাবেক আমি এমপি হাজি আলী আজগার টগর ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু এবং দুই ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করি। এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে পেরে নিজেরও ভালো লাগছে। অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের সবকিছু করবে স্বাস্থ্য বিভাগ। আমরা শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা করবো। জীবননগরে করা হবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবননগরবাসি চাইলে ওখানেও করা হবে ইনশাল্লাহ।