স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের উথলী বাজার সোনালী ব্যাংক ডাকাতির সাথে জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার এক মাসের মাথায় ৪ জনকে গ্রেফতারের সাথে সাথে ডাকাতি করা ৮ লাখ ৮২ হাজার ৯শ টাকার মধ্যে ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতির কথাই শুধু স্বীকার করেনি, তারা কোথা থেকে কীভাবে ডাকাতি করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে তাও জানিয়েছে। বলেছে, ‘ভারতীয় একটি চ্যানেলে ক্রাইম পেট্টল দেখে খেলনার পিস্তর নিয়ে দিনে দুপুরে ব্যাংকের টাকা লুট করে পালিয়ে যাই।’
পুলিশের এ সফল্যের খবরে সচেতন মহল অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সরাসরি তত্ত্ববধানে ৪ জনকে গ্রেফতার করাসহ তাদের নিকট থেকে টাকা উদ্ধারের মধ্য দিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো তা প্রশংসার দাবি রাখে। চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় তার কার্যালয় প্রাঙ্গনে গ্রেফতারকৃতদের নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হন। বলেন, জীবননগর উপজেলার উথলী বাজারের সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনার একমাস পর ৪ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। সোমবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় লুট করা ৫ লাখ ৩ হাজার নগদ টাকা, দুটি খেলনা পিস্তল, দুটি চাপাতি, দুটি মোটরসাইকেল, একটি ল্যাপটপ ও একসেট পিপিই।
গ্রেফতারকৃতররা হলো- জীবননগর উপজেলার দেহাটী ফকিরপাড়ার রফিক উদ্দীনের ছেলে সাফাতুজ্জামান রাসেল (৩০), জাহাঙ্গীর শাহের ছেলে রকি (২৩), মৃত আক্তরুজ্জাামান বাচ্চুর ছেলে হৃদয় (২২) ও মফিজুল শাহর ছেলে মাহফুজ আহম্মেদ আকাশ (১৯)। এদের মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী সাফাতুজ্জামান রাসেল। সে পুলিশের কাছে ডাকাতির কথা স্বীকার করে বলেছে, ভারতীয় সনি টিভির সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রল দেখে এই ৪ জন ব্যাংক লুটে উদ্বুদ্ধ হয়। সে অনুযায়ী তারা প্রশিক্ষণ নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী অনলাইন মাকিটিঙের একটি সংস্থার মাধ্যমে সংগ্রহ করে খেলনা পিস্তল। ডাকাতি শেষে দলনেতা রাসেল দেশের বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দেয়। অবশেষে সোমবার ভোরে জীবননগর উপজেলার দেহাটি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে অভিযান চালিয়ে বাকি তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় প্রাঙ্গনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, ঋণের তাড়নায় রাসেল ব্যাংক লুটের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তারপর বাকি আসামিদেরকে ওই কাজে সম্পৃক্ত হতে উৎসাহ দেয়। তারপর সংঘবদ্ধ হয়ে তারা এ অভিযান সফল করে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তিনি জানান, এরপর থেকেই আসামিদের ধরতে মাঠে কাজ করছিল জেলা পুলিশ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বেশ কয়টি ইউনিট। এক মাসের মাথায় চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা। এবং লুটের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। এসপি জানান, ভারতীয় অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ক্রাইম পেট্রল দেখে ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা করে ছিনতাইকারীরা। অস্ত্রের যোগান হিসেবে অনলাইনের মাধ্যমে খেলনা পিস্তল ক্রয় করে ব্যাংক লুট করে আসামিরা।