ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ইফতারের বেঁচে যাওয়া দুই কোয়া কমলা খাওয়ায় ঝিনাইদহে মাদরাসাছাত্রকে হাত-পা বেঁধে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। সদর উপজেলার মথুরাপুর আদর্শ এতিমখানার আবাসিক শিক্ষার্থী সাগর হোসেনকে বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ছাত্রের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সকালে এতিমখানার ভিতরেই এই নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে এতিমখানা ছেড়ে পালিয়ে যান পাষ- শিক্ষক হাফেজ ইমরান হাওলাদার। এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আলাউদ্দিন বলেন, সোমবার এক ব্যক্তি এতিমখানায় শিশু-কিশোরদের জন্য ইফতারের আয়োজন করেন। ইফতার শেষে কয়েকটি কমলা বেচে যায়। সেখান থেকে কিশোর ছাত্র দুই কোয়া কমলা খেয়ে ফেলে। বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার সকালে শিক্ষক হাফেজ ইমরান হাওলাদার ওই ছাত্রকে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেন। তিনি বলেন, এতিমখানা পরিচালনা কমিটি বিষয়টি জানার পর পরই বৈঠকে বসে। তার আগে শিক্ষক ইমরান পালিয়ে যান। তাকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ওই ছাত্রকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সদর থানায় মামলা করেছেন। ভুক্তভোগী সাগর হোসেন বলেন, ‘সোমবার ইফতারের পর দুইটা মাল্টা স্যারদের না জানিয়ে আমি খেয়েছিলাম। এ নিয়ে কয়েকজন স্যার আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। পরে আজ সকালে লাঠি ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। ঘটনাটি জানার পর এলাকাবাসী এতিমখানায় এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা ওই শিক্ষকের বিচারের দাবি জানান। নির্যাতিত ছাত্রের সহপাঠীরা জানায়, তার শরীরে লাঠি দিয়ে পেটানোর কারণে লাল লাল দাগ পড়ে গেছে। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে শিক্ষক ইমরান হাওলাদার হাওলাদারের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি ওই এতিমখানায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই মাদরাসাছাত্রের ওপর নির্যাতনের কথা শুনেছি।