আলমডাঙ্গায় ভোক্তার অভিযানে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর লাইসেন্স না থাকায় দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করেছে। গতকাল শনিবার সকালে আলমডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন মোড়ে এবং বাজারে খুচরা ও পাইকারি দোকান মনিটরিং করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান। জানা গেছে, পবিত্র রমজানে ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় চড়া দামে বিক্রয় শুরু করে। বিশেষ করে তরমুজ ব্যবসায়ী পিস হিসেবে ক্রয় করে নিয়ে এসে বিক্রয় করে কেজি দরে। ৫ থেকে ৮ কেজির একটি তরমুজ পিস হিসেবে ক্রয় করে নিয়ে আসে ১শ’ থেকে ২শ’ টকায়। ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায়। এছাড়াও ফলের বাজার, কাঁচা বাজার, মুদিদোকানেও তিনি অভিযান পরিচালনা করেন। পরে তিনি অভিযান করেন আলমডাঙ্গা শহরের কাপড়ের মার্কেটে। তিনি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের নিকট তাদের ব্যবসায়ীক লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, মালামালের মূল্য তালিকা দেখাতে বলেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান আলমডাঙ্গা শহরের সবচেয়ে বড় শিশুখাদ্য বিক্রেতা মেসার্স পান্না ট্রেডিং এ অভিযান পরিচালনা করেন। শিশুখাদ্য বিক্রয় লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে বলতে প্রতিষ্ঠানের মালিক কামরুজ্জামান পান্না দেখাতে পারেননি। প্রতিষ্ঠানের মালিক জানান দীর্ঘ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন। আজও এ সকল লাইসেন্স করেননি। লাইসেন্স না থাকায় প্রতিষ্ঠানের মালিক কামরুজ্জামান পান্না ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও আগামী ৭ দিনের মধ্যে লাইসেন্স করার জন্য আবেদন করার নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর কাপড়পট্টির স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে বিল্লাল ক্লথ স্টোরে অভিযান পরিচালনা করেন। বিল্লাল ক্লথ স্টোরের লাইসেন্স না থাকায় প্রতিষ্ঠানের মালিক নুরুননবী হিরোককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযান পরিচালনা করে আলমডাঙ্গা পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান রানা, আলমডাঙ্গা থানার এসআই হাবিব সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান জানান, বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। কোনো ব্যবসায়ী চড়াদামে মালামাল বিক্রয় করতে তাকে আইনে আওতায় নিয়ে আসা হবে। সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্সসহ ব্যবসায়ী লাইসেন্স করতে হবে।