আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মন্টু গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম মন্টু গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌর শহরের মাছ বাজার এলাকার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে ককটেল বিষ্ফোরণ ও হামলা ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, থানার এসআই ওয়াহিদ ও এসআই শামসুল আলম অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গা মাছবাজার এলাকায় অবস্থিত নিজের বাড়ি থেকে আমিরুল ইসলাম মন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, বেলগাছি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আজ রোববার আদালতে পাঠানো হবে। এলাকাসূত্রে জানা যায়, আমিরুল ইসলাম মন্টু এক সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। একটানা প্রায় ১০ বছর তিনি এমপি ছেলুনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন আলমডাঙ্গায়। সে সময় তিনি টি আর কাবিখা ভাগবণ্টন করতেন। অত্যন্ত প্রভাবশালী এই নেতা বেলগাছি ইউনিয়নে নিজের একচ্ছত্র প্রভাব অক্ষুণœ রাখতে বহু বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এক পর্যায়ে এমপি ছেলুন তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। ফলে স্বর্গভ্রষ্ট হন তিনি। গত বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নও পাননি। দলীয় প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান চঞ্চলকে মনোনয়ন দেয়া হয়। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই ফেল করেন মন্টু। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ মন্টু সংসদ নির্বাচনে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার পক্ষে ছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ৩টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত ইউনিয়ন পদযাত্রার কর্মসূচি থাকায় মহাসিন আলীসহ ৩০/৪০জন বিএনপি নেতাকর্মী পদযাত্রায় অংশ গ্রহণের জন্য যাচ্ছিলেন। খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচকমলাপুর গ্রামের হায়দার মোড়ে পেঁৗঁছলে আওয়ামী লীগের উশৃঙ্খল নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মারপিট করে ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়। ৫টি মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মহাসীন আলী বাদী হয়ে ৯ নভেম্বর রাতে ৪২জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫০/৬০জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।