আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা বলেশ^রপুর গ্রামে জেলা পরিষদের বরাদ্ধকৃত জমির দোকান ভাঙা ঠেকাতে না পেরে ৯৯৯-এ কল দিয়ে দোকান রক্ষা করলেন ব্যবসায়ী কোকিল। গতকাল শনিবার দুপুরের পর কোকিলের নামে জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত ওই জমির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক ভেঙে দেয়ার অভিযোগ ওঠে গ্রামের রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে। কোকিল ওই খাস জমিতে তার পিতার মৃত্যুর পর থেকে ব্যবসা করে আসছেন।
জানাগেছে, উপজেলার বলেশ^রপুর গ্রামের মৃত রবিউল ম-ল দীর্ঘ ৩০ বছর ওই জমিতে ব্যবসা করার পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে মৃত রবিউল ম-লের ছেলে কোকিল প্রায় ২০ বছর ব্যবসা করে আসছেন। কয়েক বছর আগে কোকিল ওই জমি জেলা পরিষদের নিকট থেকে নিজ নামে বরাদ্দ নেয়। ওই জমির পাশেই একই গ্রামের মৃত রবিউল হকের ছেলে রোকনুজ্জামানের নিজ নামীয় জমি আছে। বেশ কয়েক বছর ধরে রাস্তার পাশে কোকিলের নামে বরাদ্দকৃত জেলা পরিষদের ওই জমি রোকনুজ্জামান দখল করার পাঁয়তারা করে আসছেন। ২০২০ সালে ওই জমি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ওই জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ জানান। পরে ঘোলদাড়ি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে জেলা পরিষদের জমি কোকিলের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরণ করেন। কোনো কিছুতে কোনো কাজ না হলে গতকাল রোকুজ্জামান ওই দোকান ভেঙে দিয়ে মাটি ভরাট শুরু করেন। রোকনুজ্জামান সরকারের নিয়ম কানুন না মেনে গ্রামে পুকুর কেটে মাটি উত্তোলন করছে। সেই মাটি ফেলার সময় কোকিলের দোকান ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করেন রোকনুজ্জামান। দোকান ভাঙা ঠেকাতে না পেরে কোকিল ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান। সাথে সাথে ঘোলদাড়ি ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ সিদ্ধার্থ ম-ল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কোকিলের দোকান রক্ষা করেন। পরে বিকেলে কোকিল আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।