আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: এবার শিক্ষা কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন করে শিক্ষার্থীর শিক্ষাবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্র। জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ফোন করে কৌশলে তার মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর নিয়ে হাতিয়ে নেয় শিক্ষাবৃত্তির টাকা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া দুস্থ, অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে করোনা প্রণোদনার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকচক্র।
জানা গেছে, গত ৮ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ০১৮৮৩-১২৫১০৬ নম্বর থেকে আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রীর মোবাইলে ফোন করে বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে শিক্ষা কর্মকর্তা বলছি। স্টুডেন্টদের শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা পাঠানো হবে। আমাদের কাছে শিক্ষার্থীদের মোবাইল পিন নম্বর সংরক্ষণ না থাকায় টাকা পাঠাতে নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। তোমার শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা পাঠনো হবে। তোমার মোবাইলের পিন নম্বরটি বলো অফিসে সংরক্ষণ করা হবে। ওই ছাত্রী সরল বিশ্বাসে তার মোবাইল অ্যাকাউন্টের পিন নম্বরটি দিয়ে দেয়। পরপরই তার মোবাইল অ্যাকাউন্টে থাকা শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেয়া শিক্ষা উপবৃত্তির ১৫শ’ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। তার সহপাঠীরা শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা পেলেও ওই শিক্ষার্থী প্রতারিত হয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে, গত শনিবার সন্ধ্যায় সেন্টু শেখের মোবাইলে ০১৯২১-১৫৬৬৩৬ নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি বাংলালিংক কোম্পানির জিএম বলছি। আপনি আমার কোম্পানির একজন বড্ড ভাগ্যবান গ্রাহক। লটারির মাধ্যমে আপনি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন। এ টাকা কোম্পানী থেকে পাঠাতে হলে আপনার মোবাইলের পিন নম্বর দিন। তিনি পিন নম্বর জানা নেই বললে প্রতারক ফোন কেটে দেয়।
নানা কৌশলে, নানা পরিচয়ে ও নানা প্রলোভন দেখিয়ে নিরহ মানুষকে ফাঁদে ফেলে প্রতারক চক্র টাকা হাতিয়ে নেয়ার অহরহ ঘটনা প্রত্যহ আপনার আমার আশপাশে ঘটচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় কৌশলবাজ প্রতারক চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রতারক চক্র থেকে সাবধান।