আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে মেসার্স ইউনুছ রাইচ মিলে ডাকাতির ঘটনায় ৫ দিনের মাথায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৪ ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১১ অক্টোবর তাদের ৪ জনকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বন্ডবিলে অবস্থিত মেসার্স ইউনুছ রাইচ মিল। মিলের মালিক আলমডাঙ্গার বিশিষ্ট মিল চাতাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আশরাফুল হক। ওই রাইচ মিলে গত ৪ অক্টোবর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে মিলের তারকাটার বেড়া কেটে ১০-১২ জনের ডাকাতদল দা’সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নৈশপ্রহরীর হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরে মিলের গেটের তালা ভেঙে ধান-চাল বহন করা দুটি লাটাহাম্বার গাড়ি নিয়ে যায়। এসময় অফিস রুমের তালা ভেঙে অফিসের আলমারির ও টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে কাগজপত্র তছনছ করে এবং কয়েক হাজার টাকা ছিলো তা নিয়ে যায়।
এ ডাকাতির ঘটনার মাত্র ৫ দিনের মাথায় পুলিশ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৪ সদস্যকে আটক করেছে। থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী গ্রামের জরাফত ওরফে খোশবারের ছেলে মিল্টন ওরফে আকাশকে (২৬) আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে যশোরের ছাতিয়ানতলা ঘোপ এলাকার মৃত জাহিদুল ইসলামের ছেলে আসলাম হোসেন সাগর (৩০), পাবনা জেলার সদর থানার বাদলপাড়ার রব্বেল পরামানিকের ছেলে আজিজুল হক রুমন (২৫) ও একই গ্রামের মৃত আওকাত মোল্লার ছেলে রাজু ইসলামকে (৩০) আটক করা হয়। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই আমিনুর রহমান, এএসআই পলাশসহ সঙ্গীয় ফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করেন। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে ডাকাতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, ধৃত ৪ জনের মধ্যে মিল্টন ওরফে আকাশ ও আসলাম হোসেন সাগর নিজেদেরকে ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।