স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভি.জে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি নবীন শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বিলাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ভিক্টরি জুবলি উচ্চ স্কুলের পরিচালনা পরিষদ সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আশা করি তোমরা দেশের জন্য কাজ করবে। তোমরা দেশের ভবিষ্যৎ। এখন থেকে ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবে। তিনি আরও বলেন, ভালো স্কুলে অনেকেই লটারিতে ভর্তি হয়ে ফেল করে যাচ্ছে। শুধু ভালো স্কুলে ভর্তি হলেই হবে না। পড়তে হবে। আমি নিজে গ্রামের প্রাইমারি ও হাইস্কুলে পড়েছি। স্কুল কোনো ফ্যাক্টর নয়। যেকোনো স্কুলে ভর্তি হলেও, পড়াশোনা করলেই ভালো ফলাফল করা সম্ভব। আমাদের সবগুলো স্কুলকে সমান মাপে আনতে হবে। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কারো ওপর দোষারোপ করবেন না। আপনাদের দায়িত্ব বেশি। বেশির ভাগ সময় বাচ্চা বাসায় থাকে। আপনারা যেভাবে শেখাবেন, সে সেভাবে চলবে। কেউ যদি চেষ্টা করে, কোচিং প্রাইভেটে যাবে না। তাও সম্ভব। আপনারা মাথায় রাখবেন, এমনভাবে বাচ্চাদের গড়ে তুলতে হবে। পত্রিকা পড়তে হবে। বিভিন্ন পত্রিকায় শিক্ষা পাতা আছে। মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অভিভাবকদের এদিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। এক্সটা কারিকুলাম এক্টিভিটিতে সম্পৃক্ত হতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগ ডে করা যাবে না। কোনো ফেল করা স্টুডেন্ট ওপরের ক্লাসে উঠতে পারবে না। নিয়মিত স্কুলে আসতে হবে। সর্বোপরি শিক্ষক যা বলেন, শিক্ষকের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর তথা কান্ডারি হবে আজকের শিশু। তোমরাই একদিন নেতৃত্ব দেবে। মনের মধ্যে দেশপ্রেম থাকতে হবে। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, শিক্ষক হলেন আমাদের শিক্ষাগুরু। তাদের সামনে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা খুবই কম। প্রত্যেকের ধর্মই তার জীবন চরিত। তাই ধর্মীয় মূল্যবোধ নিজেদের মধ্যে বিকশিত করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যোগ্যতার ভিত্তিতে ফরম নিয়ে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে এখানে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছো। তোমাদের স্বাগত জানাই। শিক্ষকম-লী ছাত্রদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশ ও জাতি গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ছাত্র জীবনের মানবিক ‘খোকা’। এখানকার প্রত্যেকটি ছাত্র বয়সে খোকা। ওদেরকে পরিচর্যার মাধ্যমে মেধা, প্রজ্ঞা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, মানবিকতায় শ্রেষ্ঠ মানুষের কাতারে দাঁড় করানোই হবে শিক্ষকদের মূল দায়িত্ব ও কর্তব্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিল আরা চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা নেজারত কালেক্টরেট (সহকারী কমিশনার) সাদাত হোসেন, ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হাফিজুর রহমান, অশোক কুমারসহ সকল শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক আনোয়ার হোসেন।