আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিজের গরু ফার্মে আওয়ামী নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং ও খাওয়া দাওয়া করার অভিযোগ তুলে বিএনপিসহ স্থানীয়রা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের পরিষদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। তিনি একাধারে ৩ বারের চেয়ারম্যান। তার বাবা আইয়ুব হোসেন ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। নজরুল ইসলাম প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগ না করলেও আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে আওয়ামী আমলে বিশেষ সুবিধা ভোগ করেছেন। সাধারণ্যে তিনি আওয়ামী লীগের নেতার সমাদর পেতেন। গতকাল শনিবার তাকে ইউনিয়ন পরিষদে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন তার কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন জামজামি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলম শাহ। তিনি জানান, ৫ আগস্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতে জামজামি ইউনিয়নে কোনো খারাপ প্রভাব পড়তে দিইনি। এমনকি বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যান দুজনই আওয়ামী লীগের নেতা হওয়া সত্ত্বেও তারা বেশ স্বাচ্ছন্দে আছেন। স্বাভাবিক পরিস্থিতি নষ্ট করতে চেয়ারম্যান নজরুল গত ৫ মার্চ তার গরুফার্মে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং ও খাওয়া দাওয়া করেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ। তারা পরিষদে ফ্যাসিস্ট দোসর চেয়ারম্যানকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা তার সত্বর পদত্যাগ দাবি করেছে। চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, ‘আওয়ামী লীগে কখনও আমার কোনো পদ পদবি ছিল না। ছেলুন এমপির সাথে আমার ও আমার আব্বার মোটেও সম্পর্ক ভালো ছিল না। সেটাতো সকলেই জানেন। ৫ মার্চ আমার গরুফার্মে আওয়ামী নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং ও খাওয়া দাওয়া করার কথাও সঠিক না। ঢাকার প্রোগ্রামেযোগ দিতে যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির এলাকার কিছু ছেলে। তারা আমার কাছে খেতে চেয়েছিল। গরু ফার্মে তারা রান্না করে খেয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী খায়নি।’ আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম জানান, ‘চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন। ঘটনাটি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’