চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে নজরুল ইসলাম সরকার রেফারেন্স কর্ণার উদ্বোধনকালে বিদায়ী জেলা প্রশাসক
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার বিদায়ী জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার যখন একের পর এক বিদায়ী সংবর্ধনা নিয়ে ব্যাস্ত, তখন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব তাকে নিয়ে করলো ব্যতিক্রম আয়োজন। উদ্বোধন করা হলো নজরুল ইসলাম সরকার রেফারেন্স কর্ণার উদ্বোধন।
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব’র এক কোনে নজরুল ইসলাম সরকার রেফারেন্স কর্ণার নামক গ্রন্থগার উদ্বোধনকালে বিদায়ী জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আবেগী কণ্ঠে বলেন, অভানীয় এ আয়োজন আমাকে আজীবন মায়ার বাঁধনে বেধে রাখবে। যেখানে থাকি, যেভাবেই থাকি চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব আমার আত্মার সাথে লেপ্টে থাকবে এই নজরুল ইসলাম সরকার রেফারেন্স কর্ণারের মাধ্যমে। এই লাইব্রেরি সর্বাত্মক সমৃদ্ধ করার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নজরুল ইসলাম সরকার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। এর আগে তিনি সকাল ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে রেফারেন্স কর্ণার উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত হন। ফিতে কেটে উদ্বোধনের পর লাইব্রেরিতে রাখা নতুন বই পুস্তকের পাতা উল্টে দেখেন। সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জনসাধরণের অতিব জরুরি প্রয়োজনীয় কিছু উন্নয়নের কাজ হাতে নিয়েছিলাম। এর মধ্যে শহীদ আবুল কাশেম সড়কের রেললেবেল ক্রসিংয়ে ওভার ব্রিজ। কয়েকদফা সংশোধনের পর আবারও বিষয়টি একনকে। আশা করি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই অনুমোদন মিলবে। এছাড়াও যেসব উন্নয়ন প্রকল্প ছিলো তার মধ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনতায়তনসহ সবগুলোই বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। এসব কাজের পাশাপাশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় যতদিন কাজ করেছি সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের জন্য দরজা উন্মুক্ত রেখে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ারও চেষ্টা করেছি। করোনা মাহামারীকালে সরকারি নিদের্শনা প্রতিপালনে আন্তরিক চেষ্টা করেছি। সাধারণ মানুষ যখন ঘরবন্দি, তখন আমার সুযোগ হয়েছে জনগণের জন্য অনেক কিছু করার করেছি। এসব সম্ভব হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সাংবাদিকমহলসহ রাজনৈতিক সামাজিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতার ফলে। বিশেষ করে সাংবাদিক সমাজ যে সহযোগিতা করেছে তা কৃতজ্ঞচিত্তে মনে থাকবে।
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিট সভাপতি নাজমুল হক স্বপন, সাবেক সভাপতি আজাদ মালিতাসহ প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিকমহল আমার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখলে মনে হবে চুয়াডাঙ্গাতেই আছি। প্রতিদিন সকালে চুয়াডাঙ্গার সংবাদপত্রগুলোতে চোখ বুলিয়ে দিন শুরু হতো। আজ থেকে আর তেমনটি হবে না। তবে অনলাইন সংস্করণে দেখে মনের ক্ষুধা মিটিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবো। আড়াই বছরের বেশি সময় জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বপালনে কোথায় কতটুকু ত্রুটি জানি না, সবসময় চেষ্টা করেছি স্বচ্ছ্বতার সাথে নিরপেক্ষভাবে সকলকে সমান দৃষ্টিতে দেখে কাজ করা। বিদায় বেলায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব আমাকে যেভাবে মূল্যায়ন করলো তা ভুলবার নয়। ক্লাবের উন্নয়নে কখনোই কার্পন্য থাকবে না।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে নজরুল ইসলাম সরকার চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় সংবাদপত্র বিক্রয় প্রতিনিধিদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।