দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদার নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হক মোমিন মাস্টারকে এক নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আটকের ঘটনায় অবশেষে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে দামুড়হুদা মডেল থানায় বিষয়টি নিয়ে মীমাংসায় বসে উভয়পক্ষই। পরে এক লাখ ৭০ হাজার টাকায় ঘটনাটি নিষ্পত্তি হয়। ৩’শ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত আপস-মীমাংসার মাধ্যমে মোমিন মাস্টারকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরস্পরের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগও তুলে নেয় তারা। নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনার পর উত্তেজিত জনতার রোষানল থেকে ওই নারী, তার স্বামী এবং মোমিন মাস্টারকে উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ। ওই রাতে বিষয় নিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করে উভয়পক্ষই। কিন্তু ওই নারী মীমাংসা করতে রাজি হয়নি। ওই নারী জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা মর্মে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ওই রাতে মোমিন মাস্টারও হত্যা চেষ্টার মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গভীররাত পর্যন্ত বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মেয়েটি রাজি হয়নি। অবশেষে গতকাল বিকেলে আরও মীমাংসায় বসে উভয়পক্ষ। পরে এক লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিষয়টি মীমাংসা করে উভয়পক্ষ। টাকা লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, শনিবার রাতে ঘটনার পর বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। ওই রাতে উভয়পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। পরে গতকাল বিকেলে বিষয়টি মীমাংসা করে উভয়পক্ষই। একে অপরের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগও তুলে নেন তারা।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভগিরথপুরের আলিহীমের ফাঁকা বাড়িতে এক নারীসহ মোমিন মাস্টারকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাকে গণধোলাই দেয় উত্তেজিত জনতা। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হক মোমিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও ওই এলাকার অনেকেই বলছেন, মোমিন মাস্টার দামুড়হুদায় ভাড়া বাসাতে থাকেন। কিন্তু সন্ধ্যায় ফাঁকা বাড়িতে তিনি ওই নারীকে নিয়ে কি করছিলেন? এ প্রশ্ন থেকেই যায়। আর তাকে বিবস্ত্র অবস্থায়ও দেখা যায়। তার হাতে একটি জন্মবিরতিকরণ কনডম ছিলো। নারীসহ আটকের পর কৌশলে কনডমটি ফেলে দেয় মোমিন মাস্টার।