দর্শনা অফিস: দর্শনা পৌরসভা এলাকার রেডজোন ঘোষিত লকডাউন দুটি ওয়ার্ডের কর্মহীন মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও বয়স্কভাতা প্রদানসহ পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে মতবিনিময়সভা এবং ইউনিয়নবাসীর মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেছেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কর্তৃক চিহ্নিত দর্শনা পৌর এলাকার রেডজোন ৫ ও ৭নং ওয়ার্ড। ফলে গত বুধবার দুটি ওয়ার্ড রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউন কার্যক্রর শুরু হয়। সরকার লকডাউন এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও তা মেনে চলছে না কেউ। যথারীতি কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে ওই দুটি ওয়ার্ডের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। লকডাউন ঘোষণার ৬ দিনের মাথায় কর্মহীন মানুষদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হলো। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে দর্শনা পৌরসভার হলরুমে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ৫ ও ৭নং ওয়ার্ডের ১০৩ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান। সেই সাথে বিতরণ করা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সার্জিক্যাল মাস্ক। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, প্যানেল মেয়র রবিউল ইসলাম সুমন, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, কাঞ্চু মাতব্বর, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, সাধারণ সম্পাদক আওয়াল হোসেন প্রমুখ। এছাড়া দর্শনা পৌর এলাকার সবকটি ওয়ার্ডে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন কার্যক্রম চলছে। গত তিনদিন ধরে সোনালী ব্যাংকের দর্শনা শাখা থেকে এ ভাতা’র টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান। ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত এ সভা শেষে ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলমের অর্থায়নে প্রায় ৩ হাজার মাস্ক বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এসময় দিলারা রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও যে নিশ্চিত মৃত্যু তা সঠিক নয়। সে জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সর্বক্ষেত্রে নিজের সচেতনতায় মূল ওষুধ বলে আমি মনে করি। সরকারের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ নিয়মে মেনে চললে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা নেই বললেও ভুল হবে না। তাই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের পাশাপাশি সাবান ও বা হ্যান্ডওয়াস দিয়ে বেশি বেশি হাত ধুতে হবে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। যত্রতত্র হাচি-কাশি থেকে বিরত থাকতে হবে সবাইকে। নিজে নিরাপদ থেকে পরিবারের সদস্যদের নিরাপদে রাখার দায়িত্ব আপনারই। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব হারুন অর রশিদ, সদস্য আব্দুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, খায়রুল বাসার, আবু সাঈদ মিন্টু, শামসুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, হযরত আলী, রিজিয়া বেগম, নাসরিন সুলতানা পারুল প্রমুখ।