হাতুড়ে পশু চিকিৎসকের ওষুধে আলমডাঙ্গা বলেশ্বরপুরের অর্ধশতাধিক গরু অসুস্থ

 

স্টাফ রিপোর্টার: হাতুড়ে পশু চিকিৎসক ও লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির মালিকের দেয়া ওষুধে মরতে বসেছে আলমডাঙ্গা বলেশ্বরপুরের অর্ধশতাধিক গরু। এমন অভিযোগ করেছেন বলেশ্বপুর উত্তরপাড়ার গরু পালনকারীরা। গরু পালনকারী ওই গ্রামের শরিফুল ইসলাম বলেন, গ্রামের পশু ডাক্তার মশিউরের পরামর্শে গত ৫দিন আগে ফার্মা এন্ড ফ্রিম কোম্পানির উৎপাদিত টোপাসন ভিটামিন ইনজেকশন আমার ফার্মের ১৮টি গরুকে পুশ করি। তারপর থেকেই আমার ফার্মের গরুগুলোর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। লাগাতার পাতলা পায়খানার ফলে আমি (গরুমালিক শরিফুল ইসলাম) ডাক্তার মশিউরকে জানাই। মশিউর তখন বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু গরুগুলোর অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে যে কোম্পানীর ওষুধ দেয়া হয়েছিলো, সেই কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টিভ শরিফুলকে ডাকেন মশিউর। গত ৩০ মার্চ রাত ৮টার দিকে শরিফুল বলেশ্বরপুর গ্রামে পৌঁছুলে পশু চিকিৎসক মশিউরসহ ওই রিপ্রেজেন্টেটিভকে অবরুদ্ধ করে গ্রামবাসী ও গরুপালনকারীরা। এসময় তারা ভুল স্বীকার করে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম মোটরসাইকেল ও ওষুধ ফেলে সটকে পড়েন। গ্রামে উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘোলদাড়ী বাজার ফাঁড়ি পুলিশের একটি দল মোটরসাইকেল ও ওষুধ জব্দ করে ফাঁড়িতে নেয়। গ্রামের ৫০টির বেশি গরু ওই ওষুধ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ফাঁড়ি ইনচার্জ আকরাম হোসেন জানান, ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ শরিফুল ইসলামকে মারধর করা হয়েছে বলে একটি অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় ফার্মেসি মালিক পশু চিকিৎসক মশিউরের কাছে গরু অসুস্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নিজের ৩-৪টি গরুর একই ওষুধ দিয়েছি। ড্রাগ লাইসেন্স আছে কি না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বলেশ্বরপুর বাজারে সাদিকা ফার্মেসি নামে চাচাতো ভাইয়ের ড্রাগ লাইসেন্স দিয়েই ব্যবসা করি। একটি লাইসেন্স চালানো হয় হিউম্যান ও এ্যানিমেল ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় করা দুইটি ফার্মেসি। রিপ্রেজেন্টেটিভ শরিফুল ইসলাম বলেন, ওষুধের কোনো সমস্যা নেই। মাত্রা বেশী হওয়ায় গরুগুলোর এমন অবস্থা হতে পারে। তাছাড়া প্রচন্ড গরমে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ওষুধ মাত্রাতিরিক্ত গরুর শরীরে পুশ করার কারণেও এমন হতে পারে।

Comments (0)
Add Comment