মোস্তাফিজ কচি: হাঁস পালন করে সৎপথে রোজগার করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দামুড়হুদা উপজেলা নাপিতখালীর প্রতিবন্ধী যুবক আকরাম হোসেন। এ লক্ষ্যে তারা কয়েকজন শ্রমিক সাথে নিয়ে নাপিতখালি মরা গাং নামক মাঠে অস্থায়ী খামার তৈরী করেছেন। খামারে হাঁসের সংখ্যা ৭শ’/৮শ’। সকাল হলেই হাঁসের পাল ছেড়ে দেয়া হয় জমিতে। পুরোদিন জমিতে পরিত্যক্ত ধান খাওয়ার পর সন্ধ্যায় আবার হাঁসগুলো খামারে আটকে রাখা হয়।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে হাঁসখামারি দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালি গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে প্রতিবন্ধী আকরাম হোসেন (২৩) এ বলেন, লিজকৃত জমিতে গত দুই মাস ধরে বেলজিয়াম ও ক্যাম্বেল প্রজাতির হাঁস চাষ করছি। মনযোগ দিয়ে হাঁস পালন শুরু করেছি। আশা করছি লাভবান হবো। তিনি আরও জানান, মেহেরপুর জেলার কুলচারা গ্রাম থেকে হাঁসের বাচ্চাগুলো কিনে নিয়ে এসেছেন। প্রায় ৪ মাস লালন পালনের পর হাঁসগুলো ডিম দেয়া শুরু করবে। এবারের হাঁসের ডিম বিক্রি করে তারা লাভবান হতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ খামারের শ্রমিক নাসির উদ্দিন বলেন, সারাদিন তিনি হাঁসের পাল নিয়ে লিজকৃত জমিতে অবস্থান করেন। এবার হাঁস পালনে মালিকরা লাভবান হবেন বলে তিনি আশাবাদী।
দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান জানান, হাঁস খামারিদেরকে স্বাবলম্বী করতে তারা বিভিন্নভাবে পরামর্শ প্রদান করছেন। খামারিরাও সমস্যা নিয়ে তাদের কাছে আসছেন। তিনি আরো জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হাঁস পালন করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন।