শৈলকুপায় কোরবানির ঈদে শ্বশুরবাড়ির দাওয়াত না পেয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করলো স্বামী

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কোরবানির ঈদে শ্বশুরবাড়িতে দাওয়াত না দেয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার পর ঘরে ঝুলিয়ে রেখেছেন স্বামী। শনিবার রাতে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের নাদপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সাথী খাতুন। তিনি একই গ্রামের ফজলু ম-লের স্ত্রী। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন। সাথী খাতুনের বাবা একই ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া গ্রামের নজরুল ম-ল জানান, সাথীর স্বামী ফজলু ও শ্বশুর বারিক ম-ল মাদকাসক্ত। তার মেয়ের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সাথীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন ফজুলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তিনি আরও জানান, কোরবানির ঈদে আর্থিক অনটনের কারণে জামাইকে দাওয়াত দিতে পারেননি তিনি। এরই জেরে শনিবার দিনে ও রাতে তার মেয়েকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন ফজলুর বাবা-মা। এতে সাথী মারা যান। মৃত্যুর পর আত্মহত্যার নাটক সাজাতে ঘরের বারান্দায় তার মেয়েকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। রোববার সকাল ৭টার দিকে মেয়ের মৃত্যুর খবর পান তিনি। ঘটনার পর পরই জামাই ফজলু ও ফজলুর বাবা বারিক ম-লসহ বাড়ির সবাই পালিয়ে যান। সাথীর মেয়ে শারমীন জানায়, শনিবার সকালে তার দাদা-দাদি মায়ের বুকের ওপর উঠে নির্যাতন করে। তখন থেকেই তার মা আর কথা বলতে পারেননি। ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার এসআই মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাথী ও তার স্বামী ফজলুর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের কালো দাগ ও গলায় রশির চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

Comments (0)
Add Comment