আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা শহরের কাছারি বাজারে অবস্থিত আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩টি গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় শহরজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদন না নিয়ে ওই ৩টি তাজা গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা শহরের কাছারি বাজারে অবস্থিত আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে একটি বয়ষ্ক তেতুল গাছ ও কয়েকটি মহানিম গাছ ছিল। বর্তমানে ওই বিদ্যালয় ভবনে মেরামত ও রঙের কাজ চলছে। স্থানীয়রা জানান, তেতুল গাছের কয়েকটি ডাল বিল্ডিঙয়ের ছাদের উপর ছিল। সম্প্রতি স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় চত্ত্বরের বয়ষ্ক একটি তেতুল গাছ ও ২টি মহানিম গাছ অবৈধভাবে কেটে ফেলেছে। অভিযোগকারিরা জানান, খাড়া কোন গাছ কেটে ফেলার এখতিয়ার স্কুল কর্তৃপক্ষের নেই। কাটতে হলে স্কুলের নিলাম কমিটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদনের জন্য আবেদন করবেন। শিক্ষা কমিটি বনবিভাগকে নির্দেশনা দেবেন সেই গাছগুলির সর্বনিম্ন দর নির্ধারণের। তারপর তা নিলামের অনুমোদন দেবেন। অথচ এক্ষেত্রে উপজেলা শিক্ষা কমিটিকে অবহিত পর্যন্ত করা হয় নি।
উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন জানান, ওই বিদ্যালয়ের গাছ কাটার ব্যাপারে তাকে কিছু জানানো হয়নি।
আলমডাঙ্গা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা জানান, গাছ কেটে তো বিক্রি করা হয় নি। এখন নিলামের প্রক্রিয়া করা হবে। উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদন ছাড়া গাছ কাটা যায় কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, বিদ্যালয়টির মেরামত কাজ দেখভালকারি প্রকৌশলির পরামর্শে ওই গাছগুলি কাটা হয়েছে।
মেরামত কাজের তত্বাবধানকারি উপসহকারি প্রকৌশলি হবিবর রহমান জানান, তিনি কি গাছ কেটে ফেলার পরামর্শ দিতে পারেন? বরং গাছ কাটার জন্য উপজেলা শিক্ষা কমিটির নিকট আবেদন করতে বলেছিলেন বলেছিলেন এমন দাবি করেন।