মেহেরপুরে পুলিশ ও বিজিবির অভিযানে গ্রেফতার ৭

মেহেরপুর প্রতিনিধি: জামায়াত নেতা হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি, আওয়ামী লীগের নেতাসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক ৭ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরদিকে, অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে যাওয়ার সময় হুসাইন নামের এক বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিজিবি। গত ২৪ ঘণ্টায়, সোমবার থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর থানা পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে এসব আসামি গ্রেফতার হন। মেহেরপুর সদর থানার বারাদি পুলিশ ক্যাম্পের অভিযানে সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাজী আব্দুল জব্বার হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি ও মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাব্বারুল ইসলামের ঘরবাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি হিজুলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান বল্টুকে (৪৪) গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে হিজুলী গ্রামের মিনাপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া, আদালতের পরোয়ানাভুক্ত অপর একজন আসামিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতা, আনন্দবাস গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শাহিন উদ্দিন (৪২), নারী ও শিশু মামলা নং ৭৬/২৪-এর আসামি দারিয়াপুর গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম (৩৫), ভবেরপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. সুমি খাতুন (২৮), আনন্দবাস গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে মো. রিফাতুল ইসলাম (৪০), এবং গাংনী থানার আমতৈল গ্রামের মৃত হোসেন মোল্লার ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম (৩০) (প্রসিকিউশন নং ৭/২৫, ধারা ২৯০ পেনাল কোড) গ্রেফতার হন। জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত ওয়াহিদুজ্জামান বল্টু আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকালীন সময়ে বিভিন্ন লুটপাট, দুর্নীতি ও খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ মেসবাহ উদ্দিন ও মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, মেহেরপুর সদর উপজেলার নবীনগর খালপাড়া সীমান্তের ১১৬ নম্বর পিলারের কাছে দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার নাদাগাড়ি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে হুসাইনকে (৪৫) আটক করেছে বিজিবি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বুড়িপোতা বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল তাকে আটক করে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ পাসপোর্ট অর্ডার ১৯৭৩-এর ১১(১)(সি) ধারায় সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার আদালতে নেওয়া হলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন