মেহেরপুর অফিস: ‘কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এ স্লোগানে মেহেরপুরে কৃষকের পাকাধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিলেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত শহরের কায়েমকাটার মোড়ের কৃষক আসকার আলীর ২ বিঘা জমির পাকা ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
কৃষক আশকার আলী বলেন, করোনাকালে অর্থের অভাবে সংসার চালাতে হিশিম খাচ্ছিলাম। তারপরে ২ বিঘা ধান লাগিয়ে বিপদে পড়েগিয়েছিলাম পাকা ধান কিভাবে কাটবো। হাতে কোনো টাকা পয়সা নেই। পরে জানতে পারলাম মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন যে সকল কৃষক অর্থের অভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না তাদের ফসল কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন নিজ দায়িত্বে। আমি তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মেহেরপুর জেলা যুবলীগ আপনার ফসল কেটে ঘরে তুলে দেবে। কথাটি শুনে শান্তি পেলাম। তাই মেহেরপুর জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমার ধান কেটে দিয়েছেন এতে আমি অনেক খুশি হয়েছি।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, আমরা যুবলীগ। শেখ ফজলে শামস পরশ ও মাঈনুল হোসেন খান নিখিল ভাইয়ের নির্দেশে আমরা কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছি। শুধু তাই নয় এই করোনাকালে যাতে আমার পৌরবাসীসহ কোনো কৃষক ভাই হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য আমরা অক্সিজেন ব্যাংক তৈরি করেছি। সেই সাথে করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেলে তাদের দাফনের জন্য আমার একটি স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট তৈরি করেছি। আর কোনো কৃষক যদি তার ফসল কাটতে না পারে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা তা কেটে ঘরে তুলে দেবো ইনশাল্লাহ। তিনি আরও বলেন, কিছু মহল আছে কৃষকের ধান কাটার নামে ফটোসেশন করছে। উপরন্ত কৃষকের ধান কাটতে গিয়ে নষ্ট করে দিয়ে আসছে। আমি তাদেরকে বলবো এভাবে যুবলীগের নাম নষ্ট করবেন না। যুবলীগ সবসময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে।
এসময় উপস্থিত ছিললেন সাবেক যুবলীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর আল মাহমুদ, জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুর রহমান সাজু, ইয়ানুস আলী, রোকনুজ্জামান রোকন, শেখ সারাফতসহ যুবলীগের নেতাকর্মী।