মালয়েশিয়ার এক অভিনেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ভারতের চেন্নাইয়ের বেঙ্গালুরু শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়া মুন্নেত্রা কাজাগাম (এআইএডিএমকে)-এর সাবেক মন্ত্রী এম মানিকানন্দনকে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই অভিনেত্রীকে ধর্ষণের পর তিনি তিনবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু প্রতিবারই তাকে জোর করে গর্ভপাত করানো হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ভীতি প্রদর্শন করা হয়। তামিলনাড়ু পুলিশ রোববার সকালে এসব কথা বলেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন হিন্দুস্তান টাইমস। এতে আরো বলা হয়, গত বুধবার এই মামলা থেকে আগাম জামিন চেয়ে এম মানিকানন্দন আবেদন করেছিলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টে। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে। এর ফলে সাবেক ওই মন্ত্রী আত্মগোপন করে থাকা শুরু করেন। আদালত বলেছে, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা ভয়াবহ। তাকে জামিন দিলে আগের পদ ব্যবহার করে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে দিতে পারেন।
তামিলনাড়ুর সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫ বছর ধরে তিনি মালয়েশিয়ান এক নাগরিক ও অভিনেত্রীকে প্রলুব্ধ করেন। এ সময়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলে তাকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করেন এবং হত্যার হুমকি দেন। এসব ঘটনায় ৪৪ বছর বয়সী ওই রাজনীতিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা, ধর্ষণ, গর্ভপাত, ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই অভিনেত্রী যখন মালয়েশিয়ান ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে কাজ করছিলেন, তখন ২০১৭ সালের মে মাসে তার সঙ্গে পরিচিত হন তামিলনাড়ুর ওই রাজনীতিক। মামলায় বলা হয়েছে, এরপরই মন্ত্রী এম মানিকানন্দন ওই অভিনেত্রীকে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি স্ত্রীকে তালাক দেবেন। এরপর তাকে বিয়ে করতে চান। এরপর ওই প্রেমিকাকে নিয়ে তিনি একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। চেন্নাই ও দিল্লি সফর করেন। এ সময়ে ওই মালয়েশিয়ান অভিনেত্রী তিনবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। প্রতিবারই তাকে গর্ভপাতে বাধ্য করা হয়। এরপর আবার তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন এম মানিকানন্দন। এক্ষেত্রে তার ওপর শক্তি প্রয়োগ করেন এবং নৃশংস আচরণ করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মানিকানন্দন। তিনি দাবি করেছেন, ওই যুবতী বেশ কয়েকবার অর্থ দাবি করেন। তা না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।