আলমডাঙ্গা ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আলমডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মাদকসহ ৩জনকে আটক করেছে। বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাদাত হোসেনের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শরিয়তুল্লাহ, পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ পরিদর্শক আকরার হোসেনসহ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
জানা গেছে, উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ডামোশ গ্রামের মৃত আহমদ মালিথার ছেলে মিজারুল মালিথা (৪৭) দীর্ঘদিন ধরে নানাপ্রকার মাদক ব্যবসা করে আসছেন। মিজারুল মালিথার নামে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ইতোপূর্বে মাদক বিক্রয়ের অপরাধে বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন। বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাদাত হোসেনের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শরিয়তুল্লাহ, পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিদর্শক আকরার হোসেনসহ অভিযান চালিয়ে তাকে ৪শ ৮০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করে। আটকের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাদাত হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মিজারুল মালিথাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- ও ১শ টাকা অর্থদ- প্রদান করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
একই দিনে বেলা ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা শহরের কলেজপাড়ায় অভিযান চালিয়ে শ্রী আনন্দ মোহন বিশ^াসের ছেলে সুমন কুমার বিশ^াসকে (৩৯) মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের অপরাধে গ্রেফতার করে। পরে কলেজপাড়ায় তার ভাড়াবাসায় অভিযান চালিয়ে একটি প্লাস্টিকের জারিকেনে ১০ লিটার অবৈধ রেকটিফাইড স্পিরিট উদ্ধার করে। এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সনের ৩৬ (১)’র সারনির ২৪ (ক) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
আলমডাঙ্গায় মাদকবিরোধী অভিযানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর ১টার দিকে পৌর এলাকার রাধিকাগঞ্জ গ্রামে অভিযান চালিয়ে মৃত বকুল শেখের ছেলে জুলহাস ওরফে ভুটানকে (৩৭) মাদকদ্রব্য বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন বিক্রয়ের অপরাধে গ্রেফতার করে। পরে তার বাড়িতে তল্লাশি করে ৬২ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করে। ইতঃপূর্বে ভুটানের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মাদক মামলা রয়েছে। কয়েকবার জেলও খেটেছেন। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সনের ৩৬ (১)’র সারনির ৮ (গ) ধারায় মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী উপ-পরির্দশক আজগর আলী, সহকারী উপ-পরির্দশক হযরত আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স।