মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিদেশ ফেরত বকুল (৩০) নামে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ১জনকে আটক করেছে মহেশপুর থানা পুলিশ। এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে মালয়েশিয়া থেকে আগত যুবক বকুলকে তার স্ত্রীর পরিবারের লোকজন ধরে নিয়ে যেয়ে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হলে শনিবার রাতে পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে বকুল ৭/৮ বছর আগে একই গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে লতিফা খাতুনকে বিয়ে করে স্ত্রী রেখে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। বকুল বিদেশে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর নামে ২০/২৫ লাখ টাকা পাঠায়। আশা ছিলো দেশে ফিরে সুখের সংসার বাঁধবে। কিন্তু সে আশা নিরস, দেশে ফিরে আসার কথা শুনে স্ত্রী লতিফা তাকে ডিভোর্স দিয়ে পরকীয়া প্রেমিক খালাতো ভাইকে বিয়ে করে। বকুল দেশে ফিরে এসে স্ত্রীকে না পেয়ে টাকার জন্য শ্বশুর কুলের লোকজনকে চাপ দিলে একাধিক সালিশ হলেও কোন সুরাহ হয়নি। শুক্রবার বিকালে স্ত্রী পক্ষের লোকজন রাস্তা থেকে বকুলকে ধরে নিয়ে যেয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে বেঁধে নির্যাতন করে। তার দুই পা ভেঙ্গে দেয়, দুুই হাতের আঙ্গুল ভেঙে দেয় এবং বামপাশের চোখ নষ্ট করে দেয়। সে এখন যশোর সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় ৯জনকে আসামি করে মহেশপুর থানায় মামলা হয়েছে। মহেশপুর থানার ওসি সেলিম মিয়া জানান, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। রাতে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি খাইরুলকে আটক করা হয়েছে।