দর্শনা অফিস: প্রতি বছরের মতো এ বছরো দর্শনা আকন্দবাড়িয়ায় ৫ দিনব্যাপি বাউল ও লোকজ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। উৎসব চত্বর পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রসাশক। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আকন্দবাড়িয়া বাউল পরিষদের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধা, নিরক্ষর, দারিদ্রমুক্ত ও অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্প যখন, বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছিলো ঠিক তখনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালী জাতি এক কাতারে দাঁড়িয়ে রুখে দিয়েছিলো সাম্প্রদায়িকতা। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান এ দেশ হবে সবার। আকাশ সংস্কৃতি ও অপ-সংস্কৃতির রোষানলে পড়ে বাঙালীর আদি সংস্কৃতি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এ ধরণের আয়োজনের মধ্যদিয়ে আদি সংস্কৃতি আবারো ফিরিয়ে আনা সম্ভব, তেমনিভাবে সম্ভব অপ-সংস্কৃতি রুখে দেয়া। আজকে যুব সমাজ অপ-সংস্কৃতি ও আকাশ সংস্কৃতির রোষানলে পড়ে এগিয়ে যাচ্ছে অবক্ষয়ের পথে। এ ধরণের আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলার আদি সাংস্কৃতি ধরে রাখতে হবে আমাদের। ধীরু বাউল প্রতিবছর এ ধরণের আয়োজনের মাধ্যমে বাংলার ঐতিহ্যে লালিত বাউল সংগীতকে টিকিয়ে রেখেছেন। বাউল পরিষদের সভাপতি, বাংলাদেশ টেলিভিশনের বাউল শিল্পী মনিরুজ্জামান ধীরুর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাড. মুন্সি সিরাজুল ইসলাম, এনএসআই’র চুয়াডাঙ্গা জেলা উপ-পরিচালক জামিল সিদ্দিকী, সাংবাদিক হানিফ ম-ল, রেজাউল করিম লিটন। পরে গান গেয়ে দর্শক মাতিয়ে তোলেন টুনটুন বাউল, ধীরু বাউল, সুবর্ণ শোভা ও জামিল সিদ্দিকী। শেষে বাউল পরিষদের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজুকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। এদিকে বাউল উৎসব উদ্বোধনের আগে বিকেলে উৎসব চত্বর পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এ সময় তিনি বাউল পরিষদের আয়োজনে বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা উপভোগ করেন। সার্বিক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রকাশ বিশ্বাস।