মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুরে কামাল হোসেন (৪৫) নামে এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভাবদিয়া বাঁওড়ে জাগ দেয়া পাটের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মোবাইলে ডেকে নিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। নিহত কামাল শ্যামকুড় ইউনিয়নের জেলেপোতা গ্রামের রহমবারী ম-লের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতে কামাল হোসেন বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ভাবদিয়া বাঁওড়ের ধারে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়। পরে ওই সূত্র ধরে বাঁওড়ে জাগ দেয়া পাটের নিচে তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। নিহতের ভাই টিটোন হোসেন জানান, তার ভাই মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে হয়ে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চা পান করে। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিলো। গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের বাঁওড়ের জাগের নিচ থেকে গলাই ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মোবাইল ফোনটিও বিলের ধারে পাওয়া যায়। শ্যামকুড় ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আব্দুল কাইয়ুম তরু জানান, দুই মাস আগে কে বা করা তাকে হাত পা বেধে একটি গর্তের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। এ নিয়ে মহেশপুর থানায় তাকে নিয়ে গেলেও রহস্য উদ্ধার হয়নি। তবে ওই সময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করে চক্রটি। আব্দুল কাইয়ুম তরু আরও জানান, মঙ্গলবার রাতে কামাল হোসেন যখন বাজারের একটি দোকানে বসে ছিলেন, তখন একটি ফোন পেয়ে সে হাটতে হাটতে ভাবদিয়া বাওড়ের দিকে চলে যায়। সেখানে একটি হলুদের ক্ষেতের মধ্যে তাকে হত্যা করে বাঁওড়ের একটি পাটের জাগের নিচে লাশ লুকিয়ে রাখা হয়। তিনি এটাকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে মনে করেন। মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।