আসমানখালী প্রতিনিধি: অনলাইন গেম ফ্রি-ফায়ার খেলার মাধ্যমে পরিচয় হয় চুয়াডাঙ্গার শালিকা গ্রামের ইনামুল ও ঠাকুরগাঁও জেলার দক্ষিণ সালান্দর গ্রামের আরাফা আক্তারের। শুরু হয় কথাবার্তা। গত দুবছর ধরে ম্যাসেঞ্জার, ইমো এবং মোবাইলফোনে নিয়মিত চলে কথাবার্তা। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের টানে গত ৮ জানুয়ারি প্রেমিক ইনামুলের বাড়ি চলে আসেন আরাফা আক্তার।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দক্ষিণ সালান্দর গ্রামের ইস্রাফিল মোল্লার মেয়ে এবং সোহেল রানা স্ত্রী এক সন্তানের জননী আরাফা আক্তার নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে বিয়ে করেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিকা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে প্রেমিক ইনামুল হকের সাথে। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও থানায় অভিযোগ করেন স্বামী সোহেল রানা। পরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আরাফার অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। গতকাল রোববার ভোরে সোহেল রানা ও তার শ্যালক আলম মোল্লা আলমডাঙ্গার গাংনী ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সী এমদাদুল হকের সাথে দেখা করে এ বিষয়ে অবগত করেন। পরে ওয়ার্ড সদস্য হেলালুর রহমান তাদের নিয়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কসবা গ্রামে যান। সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন ইনামুল ও আরাফা।
এরপর আরাফাকে তার স্বামী সোহেল রানার হাতে তুলে দেন ওয়ার্ড সদস্য হেলালুর রহমান। এসময় হেলালুর রহমান বলেন, যেহেতু তার আগের স্বামী রয়েছে, সেহেতু কোনো সমস্যা নেই। দ্বিতীয় বিয়ের জন্য তওবা পড়ে নিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে, এ ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। মোটা অঙ্কের টাকায় এ ঘটনার রফা হয়েছে বলেও এলাকায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।