স্টাফ রিপোর্টার: সৎ ছেলে রাজ্জাকের স্ত্রী সায়রা খাতুনের সাথে শাশুড়ি সাবেহা খাতুনের সাথে তর্কবিতর্ক হয়। বিষয়টি সায়রা খাতুন তার স্বামী রাজ্জাককে জানালে সৎ মা সাবেহা খাতুনকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয় রাজ্জাক। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ছেলের উপর ক্ষোপ ঝেড়ে এসব অভিযোগের কথা বলেন।
এ বিষয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গায় সংবাদ প্রকাশের পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনিচার্জ আবু জিহাদ খানের দৃষ্টিগোচর হলে অভিযুক্ত ছেলেকে ধরতে অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেলেও দু’দিন পর গতকাল অভিযুক্ত ছেলে রাজ্জাক ও তার সৎ মাকে নিয়ে থানায় হাজির হয়। ছেলের কিছু হোক এটা মা কখনো মেনে নিতে পারেনি। আমার ছেলের কোনো দোষ নেই। বৌমাকে পিটাচ্ছিলো ছেলে এ সময় ঠেকাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আমার হাত ভেঙে যায়। থানায় বসে ওসির সামনেই কথাগুলো বলছিলেন সৎ মা সাবেহা খাতুন। এসময় সাবেহা খাতুন তার ছেলে রাজ্জাককে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন আর বলেন, আমার ছেলের কোনো দোষ নেই।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান বলেন, গতকাল দুপুরে সাবেহা খাতুন তার স্বামী, ছেলে ও পুত্রবধূকে নিয়ে থানায় হাজির হন। এসময় সাবেহা খাতুন তার ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাদতে বলেন, আমার ছেলের কোনো দোষ নেই। পুত্রবধূকে মারধর করছিলো। এসময় রাজ্জাকের মা সাবেহা খাতুন ঠেকাতে গেলে পড়ে যায়। এতে তার হাত ভেঙে যায়। এসময় রাজ্জাককে এ ধরনের কর্মকা- থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন ওসি আবু জিহাদ খান।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে মামাতো বোন মিনিকে (বাক প্রতিবন্ধী) উঠানে থাকা ভুট্টা তুলতে বলে মাঠে যায় সাবেহা খাতুন। এসময় রাজ্জাকের স্ত্রী সায়রা খাতুন খুটিনাটি বিষয়ে মিনিকে বকাঝকা করে মারধর করতে যায়। বিকেলে সাবেহা খাতুন বাড়ি ফিরলে মিনি বিষয়টি খুলে বলে। এ নিয়ে পুত্রবধূ সায়রা খাতুনের সাথে তর্কবিতর্ক হয় শাশুড়ি সাবেহা খাতুনের। বিষয়টি সায়রা খাতুন তার স্বামী রাজ্জাককে জানান। রাজ্জাক বাড়ি ফিরে তার সৎ মাকে মারধর করলে ভেঙে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে সংবাদকর্মীদেরকে এমনটি জানিয়েছিলেন সাবেহা খাতুন।