রতন বিশ্বাস : মধ্যবিত্তদের বাড়ি নির্মাণের একটি স্বপ্ন থাকে। আর সেই স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়েছে। নির্মাণ সামগ্রির প্রধান উপকরণ রড, সিমেন্ট ও ইটের দাম আকাশছোঁয়া। বেড়েছে বালির দামও। তাই অল্প সঞ্চয়ীদের বাড়ি বানানো স্বপ্ন রূপ নিয়েছে দুঃস্বপ্নে। অনেকের বাড়ির নির্মাণ কাজ চলতে চলতে থেমেও গেছে। জানাগেছে, কয়েক মাস ধরে রডের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। বিগত বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে রড। দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ১০ মিলি ১ টন রডের দাম বর্তমান বাজারে ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে কিন্তু গত মাসে এর মূল্য ছিলো ৭২ হাজার টাকা। সিমেন্টের দাম এখনও স্থিতিশিল তবে বাড়বে বলে ধারন করছে ব্যবসায়ীরা। গত বছরে ফিলিং বালি ১ ট্রাক্টর গাড়ির দাম ছিলো ১৫ শত টাকা এখন সেই বালির দাম ২৬ শত টাকা। কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের রাজমিস্ত্রি সেলিম জানান, দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত রডের সর্বোচ্চ দাম। সম্প্রতি রডের দাম বেড়ে আকাশছোঁয়া। ভালো মানের রড কোম্পানিভেদে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে।এদিকে গত বছরের তুলনায় ইটের দাম বেড়েছে প্রতি গাড়িতে ৬ হাজার টাকা। গত বছর এলাকায় প্রতি গাড়ি ইট বিক্রি হয় ১৬ হাজার টাকায়। এ বছর তা বেড়ে ২১ থেকে ২২ হাজার টাকায়। গত বছরের তুলনায় ইটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ভাটা মালিকরা কারন কয়লার দাম গত বছরে ১ টনের দাম ছিল ১১ হাজার টাকা আর এবছরে ১ টনের দাম সাড়ে ১৯ হাজার টাকা। ফলে ভাটা মালিকদের এসোসিয়েশন ইটের দাম বৃদ্ধি করে নির্ধারণ করে দিয়েছে। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এলাকার ইটভাটাগুলোতে ২১ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকায় ইটের গাড়ি (২ হাজার ইট) বিক্রি হচ্ছে। কার্পাসডাঙ্গা কলোনিপাড়ার জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি বাড়ি নির্মাণ করবো ভাবছিলাম কিন্তু নির্মাণ উপকণের ত্রিমুখী বৃদ্ধির ফলে বাড়ির নিমার্ণ কাজ আর করবো না। তবে বালির দাম বাড়বে তা ভবনার বাইরে। কার্পাসডাঙ্গার তুহিন আক্তার নামের এক সচেতন ব্যক্তি জানান, মধ্যবিত্তদের স্বপ্ন ছিল বাড়ির করার। নির্মাণ সামগ্রির প্রধান উপকরণ রড, সিমেন্ট ও ইটের দাম আকাশছোঁয়া। বেড়েছে বালির দামও। তাই মধ্যবিত্ত পরিবারের বাড়ি বানানো স্বপ্ন রূপ নিয়েছে দুঃস্বপ্নে। বাড়ি নির্মাণের কাজ চলা অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ার কারনে অনেকে বাড়ির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।