কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুরে বসেছিল পশুর হাট। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে উপস্থিত হয়ে পশুর হাট বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মথুরাপুর পশুর হাটের পূর্বনির্ধারিত দিন মঙ্গলবার সকালে হাটের কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাটে আনা হয় কয়েকশ গরু-ছাগল। হাটে তিনশর বেশি মানুষ উপস্থিত হয়। হাটে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। এখানে আসা লোকজনের মুখে মাস্কও নেই। কঠোর লকডাউনের মধ্যে এমন হাট ও জনসমাগম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার এসে হাটের কেনাবেচা বন্ধ করে দেন। হাটের আয়োজকরা বলেন, সাপ্তাহিক হাট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ক্রেতা-বিক্রেতারা চলে আসায় আমাদের কিছু করার ছিলো না। প্রশাসন এ ব্যাপারে সহযোগিতা করায় হাট বন্ধ রাখা সম্ভব হয়েছে।
হাটের ইজারাদার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাক্কির আহমেদ জানান, করোনার কারণে গেল বছর এবং এবার মিলে হাট মালিকদের লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমার নামে হাট থাকলেও অংশীদার আছে এলাকার ৩০-৩৫ জন।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, পশুর হাটটি চলছে জানামাত্রই আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। হাটটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরকারি নির্দেশনা মানার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে কাউকে জরিমানা করা হয়নি।