দেড়যুগ পর পঙ্গুত্ব থেকে মুক্তি পেলেন মাওলানা জহুরুল 

চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর আরও একটি সাফল্য

স্টাফ রিপোর্টার: দেশ বরেণ্য অর্থোপেডিক ট্রমা ও স্পাইন সার্জন প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শরীরের উরুর অস্থিসন্ধিসহ বিভিন্ন স্থানের জটিল রোগের চিকিৎসা দিয়ে বহু মানুষকে পঙ্গুত্ব থেকে সুস্থ করে তুলে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। প্রফেসর ডা. মেহেদী টানা ১০ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে সুস্থ করে তুলেছেন দীর্ঘদিন ধরে স্বাভাবিক চলাফেরার ক্ষমতা হারানো রোগী মাওলানা জহুরুল ইসলামকে।

সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের ফয়েল আলী বেলালের ছেলে মাওলানা জহুরুল ইসলামের বর্তমান বয়স ৬০ বছর। তিনি ৪২ বছর বয়সে অসুস্থ হন। সুস্থতার জন্য চিকিৎসকের নিকট গেলে চিকিৎসকেরা বলেন, দুটি উরুর অস্থিসন্ধি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জহুরুল ইসলাম ইমামতি করে সংসার চালাতেন। তিনি প্রথমদিকে গচ্ছিত অর্থ দিয়ে চিকিৎসা নিতে শুরু করেন। সুস্থতা না পেয়ে জমিজমা বিক্রি করে দেশের বাইরে প্রতিবেশী দেশ ভারতেও চিকিৎসা নিতে যান। ভেলরের নামকরা হাসপাতালে অস্ত্রোপচারসহ চিকিৎসা নিয়েও সুস্থতা না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়ে পঙ্গুত্ব জীবনযাপন শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ জীবনযাপনের এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী সম্পর্কে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মেহেদী বলেন, মাওলানা জহুরুল ইসলাম সুস্থতার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। অনেকটা নিঃস্ব হয়ে শেষ পর্যায়ে আমার নিকট এলে পূর্বের পরীক্ষা নিরীক্ষার কাগজপত্র দেখার পাশাপাশি নতুন করে কিছু পরীক্ষা করে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। ভারতে অপারেশন করেও যে রোগী সুস্থতা পাননি, সেই রোগীকে পুনঃরায় অপারেশন করে সুস্থ করার বিষয়টি জানালে রোগী ও তার নিকটজনেরা রাজি হন। এক পর্যায়ে টানা ১০ ঘণ্টা ধরে অপারেশন করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায় রোগী মাওলানা জহুরুল ইসলাম সুস্থতা ফিরে পান। যে রোগী দেড়যুগেরও বেশি সময় ধরে পঙ্গুত্ব জীবনযাপন করছিলেন সেই রোগী এখন স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করতে পেরে দু হাত তুলে দোয়া করছেন।

প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া আদায় করে বলেছেন, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি তো ওছিলামাত্র। মাওলানা জহুরুল ইসলামের শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে সফল অস্ত্রোপচারটি পিতা মরহুম মোরাদ হোসেন এবং মাতা মরহুম হাজেরা মোরাদকে উৎসর্গ করছি। একই সাথে চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের মানুষের নিকট দোয়া চাই, যাতে জীবনের বাকি দিনগুলোও মানুষের সেবার কাজে লাগাতে পারি।

Comments (0)
Add Comment