দামুড়হুদা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দেউলি গ্রাম সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর দক্ষিণ পাশে নির্মানাধীন সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিনের পুরাতন সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ার পর তার দক্ষিণ পাশ দিয়ে নতুন সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
জানাগেছে, দামুড়হুদা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দেউলি গ্রাম সংলগ্ন দীর্ঘদিনের পুরাতন সেতুর দুই মুখের অংশ ভেঙে রড বেরিয়ে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সে সময় থেকে শত শত ভারী যানবাহনসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ১২ ফুট প্রশস্ত সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে থাকে। সরু এই সেতুর ওপর দিয়ে কোনো ভারী যানবাহন উঠলে সেটি পার না হওয়া পর্যন্ত অপরদিক থেকে আসা যানবাহনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই সেতুতে প্রায় ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। পরে ২০১৮ সালে দামুড়হুদা এলজিইডির পক্ষ থেকে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর একই স্থানে নতুন সেতু নির্মানের উদ্যোগ নেন। তারই অক্লান্ত প্রচেষ্টায় একই স্থানে ১২ ফুট প্রশস্ত সেতুর স্থানে ৯৬ মিটার দৈর্ঘ ও ৭.৩২ মিটার (২৪) ফুট প্রশস্ত ডবল লেনের নতুন সেতুর অনুমোদন মেলে। তখন খেকে সেতুর মাপ ও নকশা তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে এই সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলি আজগার টগর। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কাজের কিছুটা ভাটা পড়ে। মাস দুয়েক পর পুনরায় দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী মাহাবুবুল হক বলেন, করোনা ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কিছুদিক কাজ ধীর গতিতে চললেও আবারো দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে আরও কিছুদিন সময় পাওয়া যাবে। তবে আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।