দর্শনা অফিস: দামুড়হুদার ডুগডুগিতে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে জুয়ারিচক্র। প্রতিদিন টাকা হার-জিতের জুয়ার আসর বসিয়ে ব্যাপক আলোচিত এ চক্রের সদস্যরা আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। ফের বসাচ্ছে জুয়ার আসর। সর্বশান্ত হচ্ছে অনেকে। অভিযোগ উঠেছে, জুয়ার বোর্ডচক্রের হোতা দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগির ডুগডুগি হাটপাড়ার তেতুল, রাজু, দর্শনার ইসলাম বাজারপাড়ার মগবুল ইসলামের ছেলে আশিকুল ও চুয়াডাঙ্গা নুরনগর কলোনীপাড়ার রফিকুল। চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাঠ ও বাগানে জুয়ার আসর বসিয়ে থাকে এ চক্রের সদস্যরা। দীর্ঘদিনের এ ধান্দায় প্রচুর অর্থের মালিক বনে গেছে অভিযুক্তরা। দামুড়হুদা থানা ও চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশের লাগাতার অভিযানে কিছুদিনের জন্য জুয়ার আসর বন্ধ ছিলো। কিছুদিন জুয়ার আসর বন্ধ থাকলেও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবারো বসাচ্ছে জুয়ার আসর। দামুড়হুদার ডুগডুগি হাসপাতালের পেছনের আম বাগান, ছোটদুধপাতিলা কাতলাতলা মাঠ, তারিনীপুর শ্মশান মাঠ, গোবিন্দপুর, লোকনাথপুর-পরাণপুর, বাস্তপুর, ছোটদুধপাতিলা রেললাইন সংলগ্ন মাঠসহ বেশ কয়েকটি মাঠের নির্জন বাগানে এ জুয়ার আসর বসানো হয়ে থাকে বলে রয়েছে অভিযোগ। চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জুয়ারিরা সকাল ১০টার মধ্যে ডুগডুগি স্বাস্থ্য ক্লিনিকের সামনে সমবেত হওয়ার পর জুয়ার বোর্ড চক্রের সদস্যরা নির্ধারিত স্থানে নিয়ে বসিয়ে থাকে জমজমাট জুয়ার আসর। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলমান এ আসরে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হার-জিত হয়ে থাকে। ফলে সর্বশান্ত হতে হয় বহু পরিবারকে। দামুড়হুদা থানা পুলিশ কয়েক দফায় অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম ও একাধিক জুয়াড়িকে গ্রেফতার করেছে। দায়ের করা হয়েছে মামলা। তবুও থামেনি জুয়াড়িরা। বন্ধ হয়নি জুয়ার আসর। মাস কয়েক আগেও দামুড়হুদার গোনন্দপুর-বাস্তপুর মাঠের জুয়ার আকড়ায় অভিযান গ্রেফতার করা হয় দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগির সুলতান মল্লিকের ছেলে ফরহাদ, আব্দুর রহমানের ছেলে মতিয়ার, আব্দুস সামাদের ছেলে ওমিদুল ও লোকনাথপুরের খলিলুর রহমানের ছেলে মিলনকে। সেসময় মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে রক্ষা পান দর্শনা ইসলাম বাজারপাড়ার মগবুল ইসলামের ছেলে আশিকুল ও ডুগডুগি বাজারপাড়ার লুৎফর রহমানের ছেলে তেতুল। তবে মামলা থেকে রেহায় দেয়া হয়নি তাদের। জেলার সবচেয়ে বড় জুয়ার আসর বসানোর হোতা হিসেবে তেতুল ও আশিকুর ব্যাপক পরিচিত জুয়াড়িদের মধ্যে। যতোই ঝড়-ঝাপ্টা আসুক না কেন থেমে থাকে না আশিকুর, তেতুলের এ অপকর্ম। প্রশ্ন উঠেছে, দেশে যখন জুয়া দমনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন, ঠিক তখনো কোনো খুটির জোরে দেদারছে এ আসর বসাচ্ছে তেতুল ও আশিকুর চক্র?