দামুড়হুদায় জমজ চার কন্যার পিতার হাতে গায়-বাছুর ও ঈদের পোশাক তুলে দিলেন উপজেলা প্রশাসন

 

দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদায় আনুষ্ঠানিকভাবে জুড়ানপুরের আলোচিত জমজ চার কন্যার পিতার হাতে তুলে দেয়া হলো দুধের গায়-বাছুর ও ঈদ পোশাক। গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে কন্যা শিশুদের পিতা মাহাবুলের হাতে এসব তুলে দেয়া হয়। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতার সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন প্রমুখ। এ বিষয়ে জমজ চার কন্যার পিতা মাহাবুল হোসেন আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, আমি খুবই গরিব মানুষ। ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার একার ইনকামের দ্বারা সংসার চালিয়ে মেয়েদের দুধ কেনার মতো সামর্থ্য নেই। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানগণ সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা ম্যাডাম আমার পরিবারের জন্য, জমজ ৪ কন্যার জন্য যা করেছেন তার কোন তুলনা হয়না। তিনারা আমার মেয়েদের পাশে না থাকলে হয়তো তাদের বাঁচানো সম্ভব হতো না। আমি তাদের এই উপকার কোন দিন ভুলবোনা। উল্লেখ্য, দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মাহাবুল-কল্পনা দম্পতির এক সঙ্গে ৪টি কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছিল। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান কন্যাদের নাম দেন দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া। কিন্তু গরিব দম্পতির দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির বাজারে এই ৪জন শিশু কন্যার খাবার দুধের ব্যবস্থা করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে জমজ  ৪কন্যার শিশু খাদ্য জোগানের লক্ষ্যে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ, দর্শনা পৌর মেয়র এবং উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এক লাখ ২ হাজার টাকায় ১টি দুধের গায়-বাছুর কেনা হয় মাহাবুল কল্পনা দম্পতির ৪কন্যা শিশুর জন্য। কন্যা শিশুদের খাদ্যের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কন্যাদের পিতার হাতে তুলে দেয়া হয় দুধের গায়-বাছুর।

Comments (0)
Add Comment