দর্শনা কুড়ুলগাছী পূর্বপাড়ার আলমগীর হোসেন জেলহাজতে

সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা : ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলা

মেহেরপুর অফিস: সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার কুড়–লগাছী গ্রামের পূর্বপাড়ার মো. আলমগীর হোসেন বর্তমানে জেলহাজতে। গেলো বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আমলী আদালতে (দর্শনা থানা) হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক জোহরা খাতুন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আফতাবউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বাদী মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের এসএম রুহুল আমিনের চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে (দর্শনা থানা) দায়ের করা মামলায় (যার নং-৬৩/২৩, তারিখ- ২৭/০২/২৩, ধারা- ৪০৬/৪২০/৫০৬(২) পেনাল কোড) জানা যায়, কুড়–লগাছী গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত নূহু মোল্লার ছেলে মো. আলমগীর হোসেনের সাথে বাদির পরিচয় হলে বিবাদী আলমগীর হোসেন বাদির শ্যালক হেলাল শেখকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেবে বলে জানান এবং ১৪ লাখ টাকা দাবি করেন। বিবাদীর কথা মত ০৪/১২/২০২২ তারিখে সেনাবাহিনী নিয়োগ বাছাইয়ের মাঠ থাকায় বাদি ০১/১২/২০২২ তারিখে নগদ ৩ লাখ টাকা দেন। এছাড়া বাকি টাকা বাবদ তিনশ’ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লি. মুজিবনগর শাখার ৩টি চেক দেন। পরবর্তীতে বিবাদী আলমগীর হোসেন বাদী এসএম রুহুল আমিনের শ্যালক হেলাল শেখকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দিতে ব্যর্থ হন। পরে গত ২৪/০২/২০২৩ তারিখ সকালে বাদি এসএম রুহুল আমিন বিবাদী আলমগীর হোসেনের বাড়িতে টাকা ফেরত নিতে গেলে তাকে টাকা ফেরত না দিয়ে খুন গুম করার ভয়ভীতি দেখান। যার প্রেক্ষিতে বাদি তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।

পরে আদালত দর্শনা থানা পুলিশে মামলার প্রাথমিক তদন্তভার দিলে থানার এসআই সুমন্ত বিশ^াস তদন্তভার পান। তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট প্রেরণ করা হয়। চার্জশীটে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন্ত বিশ^াস উল্লেখ করেন বিবাদী আলমগীর হোসেন একজন প্রতারক এবং সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মাদক এবং প্রতরণাসহ আরো ৯টি মামলা আছে। তিনি এভাবে বিভিন্নজনের নিকট থেকে প্রতরণা করে অর্থ আত্মসাৎ করেন।

Comments (0)
Add Comment