বেগমপুর প্রতিনিধি: রং নাম্বারে কল গিয়ে প্রেমের সম্পর্ক করে দর্শনা থানাধীন আকন্দবাড়িয়া গ্রামের শিমুল ফুসলিয়ে জনৈক এক নাবালিকা মেয়ের দেহভোগ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বয়সের কারণে বিয়ে বাঁধা হওয়ায় দিনভর দেনদরবার করা হলেও ভেস্তে গেছে সালিস বৈঠক। বিষয়টি নিয়ে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
অভিযোগে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দর্শনাধানাধীন আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মাঝের পাড়ার আব্দুস ছালামের ছেলে নাফিজ ওরফে শিমুল ওরফে শিমন বছর দেড়েক আগে রংনাম্বারে কল দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার জনৈক এক নাবালিকার (১৩) সাথে। সেই থেকে রাতজেগে নাফিজ সেজে গভীর সম্পর্কে গড়ে তোলে নাবালিকার সাথে। একেপর্যায় গত ১৪ জুন নাবালিকাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে শিমুল ঢাকায় নিয়ে যায় তাকে। নাবালিকা জানায়, ঢাকাতে নিয়ে তার সাথে স্বামী-স্ত্রীর মতো একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক করে শিমুল। ঢাকা থেকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিমুল তার নিজ বাড়ি আকন্দবাড়িয়া গ্রামে নিয়ে আসে। সেই থেেেক শিমুলের বাড়িতেই আছি। এখানে এসে জানতে পারি তার নাম নাফিজ না শিমুল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দিনভর দর কষাকষি করা হলেও শেষমেষ কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ভেস্তে গেছে সালিস বৈঠক। এ ব্যাপারে শিমুলের বাবা ছালাম বলেন, কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ছেলেকে মেয়েদের হাতে তুলে দিয়েছি। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রথম দফার সালিস বৈঠক ভেস্তে গেলেও (বুধবার) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দ্বিতীয় দফায় আবারও সালিস বৈঠক বসার প্রস্তুতি চলছিলো।