দামুড়হুদার জয়রামপুরে স্মরণকালের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার ৪ বছর পূর্তি

দর্শনা অফিস: এখনো থামেনি স্বজনদের কান্না, শুকাইনি চোখের পানি, কাটেনি শোক। দেখতে দেখতে ৪ বছর পূর্ণ হলো স্মরণকালের ভয়াবহ দামুড়হুদার জয়রামপুরে সড়ক দুর্ঘটনার। কেমন আছে নিহতদের পরিবার-পরিজন সে খোঁজ এখন আর কেউ রাখে না। দামুড়হুদার জয়রামপুরে স্মরণকালের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ। আজ ২৬ মার্চ একই গ্রামের ১৩ জনের মৃত্যুদিনের ৪ বছর পূর্তি। ১ম বছর এ দিনের বর্ষপূর্তিতে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হলেও তারপর আর কেউ মনে রাখেনি তাদের মৃত্যু দিবস। ৪ বছর আগে আজকের দিনে ভোরে চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা মহাসড়কের জয়রামপুর স্কুল বটতলায় ঘটেছিলো এ অঞ্চলের স্মরণকালের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা। বালিভর্তি ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কায় আলমসাধু চালকসহ ১৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়, আহত হন ১০ জন। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বড়বলদিয়া পশ্চিমপাড়ার ইন্নাল মন্ডলের ছেলে ২ সন্তানের জনক আকব্বর (৫০), ঠান্ডু ম-লের ছেলে ২ সন্তানের জনক বিল¬াল হোসেন (৩৫), ফকির চাঁদের ছেলে ২ সন্তানের জনক লাল মিয়া (৪০), নাসির উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২২), কালু (১৯), আহসান বিশ্বাসের ছেলে শরিফুল (৪০), নিয়ামত আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৮) আব্দুল জলিলের ছেলে আতিকুল (৩৫) মাঝপাড়ার কিতাব আলীর ছেলে ৩ সন্তানের জনক নজির আহম্মেদ (৪৫), খোদা বক্সের ছেলে ২ সন্তানের জনক জজ মিয়া (৩২), ভোলাই ম-লের ছেলে ১ সন্তানের জনক বিল¬াল হোসেন (৪৫), বাবুল হোসেনের ছেলে ২ সন্তানের জনক হাফিজুল (৩৫), ফরজ আলীর ছেলে তরিকুল (২৮), কিতাব আলীর ছেলে সোহরাব (৫০), মিনাজ উদ্দিনের ছেলে আলী হোসেন (৫২) আজান আলীর ছেলে আলতাফ (৪০), আমদ আলীর ছেলে নুরুল (৫৫), লুতফরের ছেলে গাজি মিয়া (৪০) খালপাড়ার গাজি মিয়ার ছেলে আলমসাধু চালক শান্ত (২৫), লিয়াকত আলীর ছেলে শাহীন (২০), রমজান আলীর ছেলে ৩ সন্তানের জনক রফিকুল (৫৫), গোলাম রহমানের ছেলে ২ সন্তানের জনক ইজ্জত আলী (৫৫) ও সুলতানপুরের ফিরোজ আলীর ছেলে ১ সন্তানের জনক শফিকুল (২৭) রাস্তা নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দীর্ঘদিন ধরেই এ পেশায় নিয়োজিত ছিলেন তারা। নিজেদের ব্যবস্থায় যাতায়াতের জন্য সম্মলিতভাবে কেনা হয়েছিলো আলমসাধু যোগে ওই দিন ভোরে যাচ্ছিলেন আলমডাঙ্গার উদ্দেশে। নিহত ১৩ শ্রমিকের স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয়েছে বড়বলদিয়ায়।

Comments (0)
Add Comment