কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: একের পর এক প্রেম, অতঃপর বিয়ে। এক এক করে তিন স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। এক স্ত্রী পালিয়েছেন। সবশেষ চতুর্থ স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হলে বিষয়টা আলোচনায় আসে। ঘটনা কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহের। মৃত শাজাহানের ছেলে রবিউল আলম এক এক করে পাঁচটি বিয়ে করেছেন। প্রথমে প্রেম তারপর বিয়ে। ইতোমধ্যে স্ত্রী মৌসুমী হত্যা বা আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে চতুর্থ স্ত্রী মারা যান। মেয়ের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী রবিউল পলাতক রয়েছেন। কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, মৃত মৌসুমী তার পালিত কন্যা। তিনি সম্পর্কে মৌসুমীর মামা। ছোটকাল থেকে তিনি মৌসুমীকে লালন পালন করে বড় করেন। মৌসুমী অনার্স পড়াকালীন রবিউল আলমের সঙ্গে দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং এক রাতে পালিয়ে এসে তাকে বিয়ে করেন। সে সময় রবিউল স্ত্রী থাকা অবস্থায় চতুর্থ স্ত্রী হিসাবে মৌসুমীকে বিয়ে করেন। তিনি বলেন, এর আগে আরও তিনটি স্ত্রী ছিলো রবিউলের। তাদের মধ্যে কল্যাণপুরের সাকেরের মেয়ে জোছনাকে বিয়ে করার পর নির্যাতন করার কারণে জোছনা ১টি ছেলে সন্তান রেখে আত্মহত্যা করেন। তারপর মনিরাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার পর মনিরা সন্তান সম্ভবা অবস্থায় আত্মহত্যা করেন। এরপর মৌসুমী। তারও ৪ মাসের ছেলে সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি রবিউল আরেকটি মেয়েকে প্রেমে জড়িয়ে বিয়ে করে কুমারখালী শহরে বাসা ভাড়া করে থাকেন। তিনি আরও বলেন, সুইসাইড নোট তার ভাতিজিকে দিয়ে জোড়পূর্বক লিখিয়ে রবিউল তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে রবিউল আলমের বড় ভাই সাব-ইন্সপেক্টর রানা বলেন, তার ভাইয়ের এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজে তারা অতিষ্ঠ। তবে একাধিক বিয়ের বিষয়ে তার ভাই যতটুকু দায়ী মেয়েপক্ষও কোনো অংশে কম দায়ী নয়। তিনি বলেন, মৌসুমীকে বিয়ে না করার জন্য দুই বছর আগে অনেক বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় মৌসুমী তার কথা শোনেনি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান জানান, ৪ মাসের সন্তান রেখে মৌসুমী নামের গৃহবধূ মারা গেছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে। এ বিষয়ে ইউডি মামলা হয়েছে।