ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমানসহ ৬ কর্মীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় তারা ঝিনাইদহের একটি আদালত থেকে জামিন লাভ করলেও নির্বাচন কমিশন কাউকে এখনও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেননি। ফলে বহাল তবিয়তে তারা দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মামলাটিকে প্রভাবিত করে যাচ্ছেন বলে বাদী অভিযোগ করেন।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে জেলার শৈলকুপা গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণকালে উমেদপুর ইউনিয়নের নারী ভোটার গাড়াখোলা গ্রামের নূর আলম সিদ্দিকীর স্ত্রী নাজমা পারভীনকে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে কিলঘুষি ও স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমানসহ ৬ কর্মচারী। ঘটনার দিন মামলার দুই নাম্বার আসামী আব্দুল্লাহর কাছে ওই নারী ভোটার আইডি কার্ড ও স্লিপ জমা দেন। এরপর তিনি ৩৭০ টাকা দাবী করেন। এ নিয়ে উচ্চবাচ্য ও তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে আসামি ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আব্দুল্লাহ, নাসরিন আক্তার, মাজেদুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন ও রুবায়েত ইসলাম জোটবদ্ধ হয়ে নাজমাকে মারধর ও শ্লীলতাহানী ঘটায়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে আপস মিমাংসা ও বাদীর খোয়া যাওয়া সোনার গয়না ফেরত দেবার আশ্বাস দেন আসামিরা। পরবর্তীতে কালক্ষেপন করে ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট কোন আপোষরফা করবেন না বলে জানালে নাজমা পারভীন ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেন। আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবদেন দাখিলের জন্য গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মখলেছুর রহমানকে দায়িত্ব দেন। ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান শিক্ষক তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করনে নির্যাতিত নাজমা পারভিন শৈলকুপা থানা পুলিশের দারস্থ শেষে ব্যার্থ হয়ে আদালতে অভিযোগ করেন। প্রধান শিক্ষক তদন্ত করার সময় সাক্ষী স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান স্বপন, শৈলকুপার বারইপাড়া গ্রামের আলমের ছেলে মেহেদী, মনজেলের ছেলে আলম, আব্দুল আজিজ মোল্লার ছেলে রিপন ও আবু তালেব জোয়ারদারের স্ত্রী মমতাজ বেগমের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনার সত্যতা পান এবং তাদের লিখিত বক্তব্য আদালতে দাখিল করেন। নির্যাতিত নাজমা পারিভন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ন্যায় বিচার আশা করেন। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মশিউর রহমানের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।