ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার মুরুটিয়া গ্রামে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে গলাটিপে ও শ^াসরোধ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ফরিদা পারভীন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই একই গ্রামের এমদাদুল হকের সাথে ফরিদা পারভীনের বিয়ে হয়। ১ লাখ টাকা দেনমোহরে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করে এমদাদুল। বিয়ের পর তার ও পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুক হিসেবে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার সোনার গয়না বিক্রি করে নেয়। কয়েক দিন যাবত আরও ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে আসছিলো এমদাদুল। টাকা দিতে না পারায় প্রায় প্রতিদিন তাকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন এমদাদুল। সর্বশেষ গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে টাকা আনতে না পারায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে জখম করে এমদাদুল ও তার সতীন নাহার বানু ও সতীনের ছেলে ইমন হোসেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যৌতুকলোভী এমদাদুল ও পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করেছেন ফরিদা পারভীন। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার ওসি মঈন উদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।