ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের শপথ গ্রহণ গতকাল বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই শপথ বাক্যপাঠ করান জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দল থেকে বহিষ্কৃক একঝাক বিজয়ী বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে ছবি ওঠেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ। সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জয়লাভ। নির্বাচনের সময় নৌকার মনোনীত একাধিক প্রার্থী অভিযোগ করেন তাদের পাশে নেই উপজেলা আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিদ্রোহীদের দলে ফেরা নিয়ে উপরের কোনো নির্দেশ নেই। নির্বাচনে অংশগ্রহণের কারণে সে সময় দল থেকে বহিষ্কার করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। কিন্তু শপথের সময় দেখা গেল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ বিদ্রেহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিতদের নিয়ে শপথ গ্রহণ করতে যান এবং একসাথে ছবি ওঠেন। উপজেলা আ.লীগের সম্পাদকের সঙ্গে ছবিতে দেখা যায় কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচিত সিরাজুল করিম, সাগান্না ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের নির্বাচিত মোজাম্মেল হক, মধুহাটি ইউনিয়নের মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচিত আলতাফ হোসেন বিশ্বাস, সাধুহাটি ইউনিয়নের মোটরসাইকেল প্রতীকের নাজির উদ্দিন, হলিধানী ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের অ্যাড. এনামুল হক নিলু, মহারাজপুর ইউনিয়নের চশমা প্রতীকের খুরশিদ আলম মিয়া, পদ্মকর ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের বিকাশ বিশ্বাস, দোগাছির মোটরসাইকেল প্রতীকের গোলাম কিবরিয়া কাজল ও ঘোড়শাল ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের মাসুদ পারভেজ লিল্টনকে। জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আছাদুজ্জামান আছাদ জানান, কেন্দ্র থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলে ফেরানো বিষয়ে কোন নির্দেশনা আসেনি। তবে স্থানীয় এমপি ভিত্তিক রাজনীতির জন্য তারা একটি সিন্ডিকেটে চলছে হয়তো। যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছেন তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা করলেও দলীয় কোন পদ-পদবি আর পাবে না এবং দলীয় মনোনয়ন পাবে না। শহিদুল ইসলাম হিরণ এবার দিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মত ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড করেন। এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি ৯১ সালে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিভাগের কাছ থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেন। এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়নে ইউপি মেম্বরদের শপথ গ্রহণ সম্পন্ন হয়।