আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় জীববৈচিত্র সংরক্ষণ যুব সংস্থার উদ্যোগে খাঁচাবন্দী কয়েক জাতের টিয়া পাখি অবমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কয়েক জাতের টিয়া পাখি ব্যবসায়ীর খাঁচা থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে। পরিবেশপ্রেমী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে টিয়া পাখি অবমুক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারা শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না বরং ইকোসিস্টেম ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করে। পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ করে। অনেক পাখি কীটপতঙ্গ খেয়ে ফেলে, যা ফসলের জন্য ক্ষতিকর। পরাগায়ন ও বীজ সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়। অনেক পাখি ফুলে বসে বা মধু খায়, ফলে পরাগায়নে সহায়তা করে। এটি উদ্ভিদের প্রজননে সহায়ক। তাছাড়া, জলবায়ু ও প্রতিবেশ রক্ষায় ভুমিকা রাখে। পাখি বনভূমির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। বনভূমি কার্বন শোষণ করে ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভূমিকা রাখে, যা পরোক্ষভাবে পাখিদেরও অবদান।
জীববৈচিত্র সংরক্ষণ যুব সংস্থার সভাপতি সাঈদ হিরোন জানান, অবমুক্তকরণের মাধ্যমে পাখিদের প্রাকৃতিক বাসস্থানে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে। এছাড়া, অবৈধভাবে পাখি শিকার ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পাখি বিক্রি বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জীববৈচিত্র সংরক্ষণ যুব সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ বলেন, পরিবেশের সৌন্দর্য ও মানসিক প্রশান্তি দেয় পাখি। পাখির ডাক, ওড়ার দৃশ্য ও বৈচিত্রময় রঙ প্রকৃতিকে সৌন্দর্যম-িত করে। মানুষ মানসিক প্রশান্তি ও আনন্দ পায় পাখি দেখায়, বিশেষ করে টিয়া পাখি, যা পরিবেশ-সচেতনতা গড়ে তুলতেও সাহায্য করে।
স্থানীয়দের মধ্যে আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্রের সভাপতি ইকবাল হোসেন মিয়া এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জীববৈচিত্র সংরক্ষণ যুব সংস্থার এই উদ্যোগ পরিবেশের প্রতি আমাদের দায়িত্বশীলতা আরেক বার মনে করিয়ে দিল। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ উদাহরণ হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে এমন দৃষ্টান্ত আরও বৃদ্ধি পাবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত রহমান, দপ্তর সম্পাদক আল রাব্বি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রিন্স, সদস্য শাওন প্রমুখ।