হাসাদাহ প্রতিনিধি: জীবননগর উপজেলার বকুন্ডিয়া গ্রামের মিরাজের নামে করা মামলার প্রতিবাদে মিরাজের পিতা জাকির হোসেন শনিবার বিকাল ৫টায় সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে জাকির হোসেন বলেন, গত ৬ জুলাই সোমবার আমাদের একই মহল্লায় বসবসকারী তারিকের মা রাত আনুমানিক ৯টার দিকে নিজ ঘরেই ঈশার নামাজ আদায় করছিলেন এ সময় তারিকের বৃদ্ধা মাতাকে পেছন থেকে কে বা কারা এলোপাতাড়িভাবে শরীরে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদের চিৎকারে মহল্লার সবাই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত বৃদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় আমার ছেলে মিরাজ হোসেন একই গ্রামের অন্য পাড়াই চায়ের দোকানে বসেছিলো।
এ সময় বৃদ্ধার পুত্রবধূসহ কে বা কারা আমার ছেলে মিরাজের নাম উল্লেখ করে কথা বলেন যে, দিনের বেলাই মিরাজের সাথে এই বৃদ্ধার ছাগল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিলো। হয়তো বা সেই এই কাজটি করতে পারে।
তারই জের ধরে ঘটনার সময় উৎতপ্ত জনতা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাসাদাহ ক্যাম্পের পুলিশকে সংবাদ দিয়ে সন্দেহমূলকভাবে আমার ছেলেকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আমার ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং নিরপরাধ। এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানে না সে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার সময় আমার ছেলে যে চায়ের দোকানে বসেছিলো তার যথেষ্ট পণমানও আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদি তারিক ও মামলার ভিকটিম রেহেজান বেগম অরফে বড়বুড়ি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রামের গণ্যমান্য বাক্তিবর্গ এবং গ্রামের আরো অনেকেই। সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে জাকির হোসেন তার ছেলে মিরাজের বিরুদ্ধে করা এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাদিসহ সকল প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।