জীবননগর ব্যুরো: যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জীবননগর উপজেলার গয়েশপুরে এক গৃহবধূর নিকট থেকে জোরপূর্বক তালাক আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। শিশু সন্তানকে জিম্মি করে স্বামী ও ননদ মিলে এ তালাক আদায় করে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ বছর পূর্বে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে বাপ্পারাজ ও একই গ্রামের মাহাবুলের মেয়ে মাবিয়া খাতুনের সাথে সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে এক বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। সম্পর্কের এ বিয়ে মেনে নেয়নি বাপ্পারাজের পরিবার ও তার বোন নাজমা খাতুন। বিয়ের একবছর পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে বাপ্পারাজ। যৌতুক না দেয়ায় গৃহবধূ মাবিয়ার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। গৃহবধূ মাবিয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা একজন দরিদ্র মানুষ। বিয়ের পর তার চাকরির জন্য ২ লাখ টাকা দেন। আবার সে টাকার জন্য আমাকে চাপ দেয়। কিন্তু আমার দিনমজুর পিতা তা দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে সে আমার সন্তানকে জিম্মি করে আমার নিকট থেকে জোরপূর্বক তালাক আদায় করে স্বাক্ষর নেয়া হয় কাগজে।
এ ব্যাপারে সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জীবননগর থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।