জীবননগর ইউএনও’র বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধাদের

স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগরে চলমান মানববন্ধন স্থগিত করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। মানববন্ধন স্থগিত করে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অসৌজ্যমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন তারা। ‘জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলি চাই’ দাবিতে মুক্তিযোদ্ধাগণ পূর্ব ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে স্থগিত করেছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে তাদের দাবি ছিলো সাতদিনের মধ্যে নির্বাহী অফিসারকে বদলি করতে হবে। এছাড়াও দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দেন মুক্তিযোদ্ধারা। মঙ্গলবার দুপুরে জীবননগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের হলরুমে মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে সংবাদিকদের জানান। তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোর্তুজা বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকুনুজ্জামান যোগদানের পর থেকেই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যয়নপত্র দিতে দেরি করেন, তাদের সাথে ভালোভাবে কথা বলেন না, মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ নানা কাজেই তার কাছে যেতে হয়।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দিনের সাথে আক্রমণাত্মক কথা বলেন। এসব কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলির দাবিতে মানববন্ধনের সিদ্ধান্ত নিই। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে জীবননগর, দামুড়হুদা, দর্শনা থানার ওসিরা স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের সাথে কথা বলেন। ওসিরা আমাদের বলেন, জীবননগর চৌরাস্তা  মোড়ে মানববন্ধন না করে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। হঠাৎ করে সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এসে মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দের সাথে বসেন। তিনি জানান (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক) আপনারা মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করেন। আর বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বসে ঠিক করবেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মর্তুজা আরও বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়নেরও আশ্বাস দেন। এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুক্তিযোদ্ধাদের র‌্যাফেল ড্র’র টিকিট আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দিন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সর্বদা আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এ ধরণের আচরণ আমাদের কাম্য নয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোবাইল ফোনে মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকুনুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কবীর হোসেন জানান, আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে কথা বলেছি। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করা হবে। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য একসাথে বসে বিষয়টি মিমাংসা করবেন। এ সময় চুয়াডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Comments (0)
Add Comment